আজ আর কোনও ভারি খাবারের রেসিপি নয়। একেবারে হালকা সান্ধ্য আহারের কথা বলবো। কথা বলা, গল্প করার ফাঁকেই একটু মুখ বদলের জন্য নোনতা-ঝাল আইটেম। আলুর নিমকি বানানোর ঝামেলাও কম যদি মসলা সব ঘরেই থাকে।

উপকরণ:
ময়দা : ৪ কাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো : ১/২ চামচ
জোয়ান : ১/২ চামচ
কালো জিরে : ১/২ চামচ
সাদা তেল : ১/২ কাপ
সর্ষের তেল : ৬ চামচ
গোটা জিরে : ১ চামচ
আদা – রসুন – লঙ্কা বাটা : ১ চামচ
পেঁয়াজ : ১ টা বড়
টমেটো : ১ টা বড়
বেসন : ২ চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো : ১ চা চামচ
আলু : ৪ টে মাঝারি মাপের
চাট মশলা : ১ চামচ
ভাজা মশলা : ১ চামচ
গরম মশলা : ১ চামচ
ধনেপাতা কুচি : অল্প পরিমাণ
লবঙ্গ : পরিমাণ মতো

পদ্ধতি:
প্রথমে একটা বাটিতে ময়দার সাথে কালোজিরে, গোলমরিচ গুঁড়ো,হাতে গুঁড়ো করা জোয়ান ও পরিমাণমতো নুন দিতে হবে। তারপর সাদা তেল দিয়ে ভালোভাবে ময়াম দিতে হবে।তারপর ময়দাটি ভালোভাবে মাখা হয়ে গেলে দু চামচ সাদা তেল দিয়ে তাকে রেখে দিতে হবে। তারপর একটি প্যানে সর্ষের তেল দিতে হবে; তেল গরম হলে একে একে জিরে, আদা – রসুন – লঙ্কা বাটা ,কুচানো পেঁয়াজ ও কুচানো টমেটো দিয়ে নাড়তে হবে। এরপর লবণ, হলুদ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো ও বেসন দিয়ে ভালোভাবে কষতে হবে।আলু সেদ্ধ করে মেখে মশলার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরমধ্যে গরম মশলা, চাট মশলা ও বাড়ির তৈরি ভাজা মশলা দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিতে হবে যদিও সেটি না দিলেও হবে। ঢেকে রাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে নিয়ে পাতলা করে বেলতে হবে। এরপর সেটিকে চারকোনা করে কেটে সেটির মধ্যে আলুর পুর দিয়ে কোণাকুণি যুক্ত করে একটি লবঙ্গ দিয়ে গেঁথে দিতে হবে। এমন ভাবে কাটতে হবে যাতে ভেতরের পুর না বেরিয়ে আসে। পুর ভরার পর সেগুলিকে গরম সাদা তেলে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে গরম মুচমুচে মুখরোচক পদ। এবার গরমাগরম দিয়ে দিন প্লেটে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version