মৈনাক শর্মা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে দিন প্রতিদিন বেড়ে চলছে আক্রান্তর সংখ্যা। একদিনের আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সংক্রমণ বাড়ার সাথেই শুরু হয় অক্সিজেন ও পর্যাপ্ত ওষুধের সমস্যা। একসময় যেখানে ভারত ছিলো করোনা মোকাবিলায় অন্য দেশকে সাহায্যে সামনের সারিতে, সেখানে আজ সে নিজেই সাহায্য চাইছে। তবে এই কঠিন অবস্থায় অবশ্য সাহায্যে এগিয়ে আসছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ইউ এ ই ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মত সংস্থা ও দেশগুলি ।

তবে এই সমস্ত দেশের মধ্যও নজর কেড়েছে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সাহায্য প্রস্তাব। সম্প্রতি টুইট করে ভারত তথা দিল্লির পাশে দাঁড়াবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পাক বিদেশ মন্ত্রী শাহ্ মাহমুদ কুরেশি।, তার এই ইচ্ছা প্রকাশের পরই দিল্লির পাশে দাঁড়াবার কথা জানান খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে মধুরতা আবারও দেখা যেতে পারে এই মানবিক মুখের কারণে।

পাকিস্থান ছাড়াও রয়েছে রাশিয়া। ভারত-চীন সীমা বিবাদে নিজেকে এই বিবাদে সরিয়ে রাখলেও মহামারির সময়ে দিল্লির পাশে রাশিয়া। করোনা মোকাবিলা জন্য প্রায় চার লক্ষ Remdesivir ইনজেকশন ও ছয় হাজার মেট্রিকটন অক্সিজেন দিল্লিতে পাঠাতে প্রস্তুত মস্কো। তা ছাড়া ভ্যাকসিনের অভাব মেটাতে মে মাসের শেষের দিকে ভারতে আসতে পারে রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ।

ভারতের পাশে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরসাহি। প্রায় ৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন দেয় ইউ এ ই ও চারটি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেনের ট্যাংক ভারতে পাঠাচ্ছে সিঙ্গাপুরও। এছাড়াও অক্সিজেনের অভাব আরও কম করতে জার্মানী থেকে আসছে অক্সিজেনের কনটেইনার।

সাহায্যে পিছিয়ে নেই ফ্রান্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও। টুইট বার্তায় দিল্লির পাশে দাঁড়াবার কথা জানান ফ্রান্স রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল লেনাইন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান চার্লস মাইকেল। অন্য দিকে রয়েছে মরিসনের অস্ট্রেলিয়াও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে রবিবার সন্ধ্যায় জানা গিয়েছে ইউরোপ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ভেন্টিলেটর নিয়ে প্রথম কন্সাইনমেন্ট জাহাজে মঙ্গলবার ভারতের মাটিতে নামবে। পরবর্তীতে আরো পরিকাঠামো পাঠানো হচ্ছে ইউরোপ থেকে।

ইউরোপ ইউনিয়নের প্রধান থেকে ফ্রান্স অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্থান প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র ক্ষেত্রেই সাহায্যের আশ্বাস আসলেও সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি আমেরিকা থেকে। মার্কিন তরফে ওয়াইট হাউসে সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও সুরক্ষা বিভাগের পরামর্শ দাতা জ্যাক সুল্লিভান এর ভারত সাহায্যে এগিয়ে আসার বার্তা দিলেও ভ্যাকসিনে অ্যামেরিকা ফার্স্ট নীতি অবলম্বন করা মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেন তরফে আসেনি কোনো প্রতিক্রিয়া। এক্ষেত্রে ভারত, আমেরিকার বাণিজ্যে অন্যতম পার্টনার হলেও ভবিষ্যতে চীনকে রুখতে ভারত আমেরিকার যুগলবন্দি কোয়াড থাকছে প্রশ্নের মুখে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version