কলকাতা ব্যুরো: সপ্তম দফার ৩৪ বিধানসভার নির্বাচনে আইন-শৃংখলার তুলনায় আলোচনায় থেকে গেল করোনা বিধি। ফলে আসানসোল, মালদায় কিছু গোলমাল ছাড়া করোনা নিয়ে আলোচনাতেই মগ্ন থাকলো বাংলা। এরইমধ্যে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বাঙ্গালী বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তুলধনা করায় সেটাই হয়ে গেল এদিন এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় আলোচনার ইস্যু। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৭৬% ভোট পড়লেও, কলকাতায় তা ৫৯% আটকে গিয়েছে। যদিও মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি।
এদিন সকাল থেকেই সবচেয়ে বেশি গোলমালের খবর আসতে থাকে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। উত্তর এবং দক্ষিণ ছাড়াও, বারাবনি পাণ্ডবেশ্বর থেকেও নানান রকমের গোলমালের খবরে বাজার গরম শুরু হয়। একসময় আসানসোল দক্ষিণে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্যাশন ডিজাইনার আগ্নিমিত্রা পাল ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের মধ্যে পাল্টা কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেন্ট্রাল ফোর্স এর বিরুদ্ধে। কলকাতাতেও একই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের দেবাশীষ কুমার ও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও দিনের শেষে তেমনভাবে কোথাও বড় গোলমাল এর খবর নেই। তবে তারমধ্যে দু’পক্ষ গোলমাল করছে দূরত্ব বৃদ্ধি ভুলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

[masterslider id=”1″]

সেই তুলনায় এ দিন সকলের নজর ছিল করোনা বিধি কতটা মানা হল তা নিয়ে। মালদা বা দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলায় তেমনভাবে দূরত্ব মালা না হলেও এ দিন অন্তত মাস্ক পড়ে ভোট দিতে আসা নাগরিকের সংখ্যা যথেষ্ট নজর কাড়ার মত ছিল। সেই তুলনায় বিধি মানলেও কম ভোট পড়েছে কলকাতাতে। ফলে করোনার আতঙ্ক যে গত কয়েকদিনে অনেকটাই মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে তা সপ্তম দফায় নিশ্চিত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version