কলকাতা ব্যুরো: হাথ্রাস গণধর্ষণ ও নির্যাতিতের মৃত্যুতে ক্ষোভের আগুন বাড়ছে। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন নিজেই ফোন করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে। যোগী আদিত্যনাথ নিজেই সে প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। হাত্রাসের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো অভিযুক্তকে ছাড়া হবে না। তিনি জানান, ওই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। তারা সাত দিনের মধ্যে প্রথম রিপোর্ট দেবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ঘটনার তদন্ত করা হবে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এখন যাই বলুক না কেন তাকে অনেকটাই সাফাই হিসেবে দেখছে মৃতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, তারা পরিবারের তরফে দেহ সৎকারের জন্য বুধবার সকাল পর্যন্ত সময় চেয়ে ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের কথায় পাত্তা না দিয়ে, নিজেরাই ভোররাতে দেহ জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ অপরাধীদের থেকেও জঘন্য কাজ করেছে বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন মৃতার ভাই।
দিল্লির চলন্ত বাসে নির্ভয য়ার গণধর্ষণ এবং তাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার ছায়া যেন উঠে আসছে হাত্রাসের ঘটনায়। যেভাবে নির্যাতিতার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে, দেহের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছে এবং জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে, তাতে চরম নৃশংসতায় উঠে এসেছে। আর এই অবস্থায় নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে ক্ষোভ। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা অভিযুক্ত দের চরমতম শাস্তি দাবি তুলেছেন।
অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাওয়াত, হিমেশ রেশমিয়া থেকে বলিউডের সেলেবরা ট্যুইট করে পরিস্থিতিতে উত্তেজনার আঁচ দিচ্ছেন। কেউ কেউ খোলা জায়গায় অভিযুক্তদের গুলি করে মারার দাবি করেছেন। কেউ বা তাদের দ্রুত বিচার করে ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করছেন। কিন্তু উত্তর প্রদেশে পুলিশের আচার-আচরণে প্রশ্ন কিন্তু থেমে থাকছে না। একটি নৃশংস ঘটনা পরিবারের মেয়ের মৃত্যুর পরেও পুলিশ যেভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দেহ নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে বিজেপির চাপ কমাতে একটি সঠিক উদাহরণ বলে মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।