কলকাতা ব্যুরো : গতকাল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে ধুন্ধুমারের পর একদিকে বিশ্বভারতী সিবিআই তদন্ত চাইলো। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় ও ভাঙচুরের তদন্ত চেয়ে মামলা হলো হাইকোর্টে। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদালা বসু।
আবার তাঁদের উপর হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘন্টার অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী তরফে। অন্যদিকে জাতীয় গ্রীন ট্রাইব্যুনালে যাঁর মামলার জেরে মেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি রায়ের অংশ হাতিয়ার করেছে বিশ্বভারতী, সেই পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গ্রীন ট্রাইব্যুনালের মামলায় বিশ্বভারতী পৌষমেলা মাঠের মাপ চিহ্নিত করবে ও সীমানা ব্যারিকেড করবে বলে নিজেরাই জানিয়েছিল। এখন সেটাই হাতিয়ার করে পাঁচিল ঘিরছে বলে দাবি সুভাষ দত্তের। তাঁর যুক্তি, ব্যারিকেড করা মানে পাঁচিল ঘেরা নয়। সেই মামলাটি বুধবার ফের শুনানি হবে এনজিটিতে।
ফলে পৌষ মেলা মাঠ নিয়ে গত সপ্তাহে পাঁচিল ঘেরার প্রথম দফায় কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব থাকলেও, সোমবার তার রাশ চলে যায় পাঁচিল বিরোধীদের হাতে। আর মঙ্গলবার থেকে দোষ আর পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে।
এ দিন বিশ্বভারতীর তরফে হামলা ভাঙচুরে তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি সহ আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আবার পাল্টা অভিযোগ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আবার সোমবারের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার তীব্র নিন্দা করে এক বিবৃতিও দেয় বিশ্বভারতী। এই বিবৃতিতে জানানো হয় ডিএম ও এসপিকে আগাম জানানো সত্ত্বেও গতকাল পাঁচিল ভাঙার সময় পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল।