কলকাতা ব্যুরো : আনলক পর্বেও করোনা পিছু ছাড়ছে না। সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকে। এই অবস্থায় পূজো কেমন হবে সে নিয়ে আজ পূজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে মিটিং করলেন মমতা। বেশ কিছু প্রস্তাব ও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন এবার মণ্ডপ খোলামেলা হওয়া দরকার। স্যানিটাইজার ব্যাবহার খুবই প্রয়োজন। এই বছর অনেক উৎসবই ঠিক মত হয় নি। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সুতরাং সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে এই উৎসব করতে হবে। রাজ্য পুলিশ এলাকায় ৩৪,৪৩৭ টি পূজো। পুলিশ এলাকায় ২৫০৯ টি পূজো এবং মহিলা পরিচালিত পূজো ১৭০৬ টি পূজো এবার। এছাড়াও পুজো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ এমনভাবে যেনো তারা পূজো করে যাতে পুজোর পর সংক্রমণ না ছড়ায়। মণ্ডপের চারদিক যদি ঢাকা থাকে তাহলে ছাদ যেনো খোলা থাকে। মণ্ডপ এমন ভাবে করতে হবে যাতে হওয়া চলাচল করে এবং ঢোকা ও বেরোনোর পথ আলাদা হয়। সকল দর্শনার্থীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ তারা যেনো মাস্ক পরে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে পুজোয় বেরোন।
এবার সুরক্ষার জন্য বেশি সংখ্যক সেচ্ছাসেবক রাখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অঞ্জলির সময় দুরত্ব বজায় রাখা প্রযোজনা। পুজোয় ভিড় এড়াতে রাস্তায় আরো বেশি মার্কিং ও ব্যারিকেড দিতে হবে। তিনি জানান পুজোর জন্য দমকল কোনো চার্জ নেবে না। পুরসভা আর পঞ্চায়েত ও কোনো ফি নেবে না। পুজোয় সি এই এস এই ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও ছাড় দেবে ৫০ শতাংশ। তিনি আরও বলেন পূজা কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। এ ছাড়াও পুজোয় হকারদের পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।