অয়ন ঘোষ, কলকাতা ব্যুরো :
ভোট নিয়ে কটুক্তি যেন যত দিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে। ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ফুরফুরার চ্যাংড়া’ বিশেষনে বিঁধলেন আইএসএফ-এর প্রধান আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকিকে। সরাসরি নাম না নিলেও তাঁর বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল খুবই স্পষ্ট। এই বক্তব্যের উত্তরে পাল্টা আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অহঙ্কারী, তিনি মানুষকে মানুষ মনে করেন না।
বাম ও কংগ্রেসের সংযুক্ত মোর্চায় রয়েছে আব্বাসের দল। রাজ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থীও দিয়েছে আইএসএফ। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি আসনে খাম প্রতীকে লড়ছেন আব্বাস অনুগামীরা। শনিবার সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই আব্বাসকে আক্রমণ করেন মমতা। মুসলিম ভোট ভাগ করে বিজেপি-কে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগও আব্বাসের বিরুদ্ধে তুলেছেন তিনি।
এর উত্তরে আব্বাসও তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে মুসলিম সমাজকে বোকা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই মুসলিম সমাজকে উচ্ছেদ করার জন্যই তিনি বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকাচ্ছেন। তিনি এও বলেন, তিনি তাঁদের সম্প্রদায়-সহ পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার আদায়ের যে ল
ড়াইয়ে নেমেছেন, তাতে মানুষ তাঁর ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন অভিযোগ তুলছেন যে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে বিজেপি-কে সুবিধা করে দেওয়ার, অন্যদিকে একইভাবে আব্বাসও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, বাংলাকে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের টাকার চুক্তি ছিল, সেটা পাচ্ছেন না বলেই মুখ্যমন্ত্রী এইধরণের উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মানসিক সমস্যা হচ্ছে। বলেও দাবি করেছেন আব্বাস।
উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মূলত প্রচার চালাতে হচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে। কিন্তু মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়, বাসন্তী, ক্যানিং, মগরাহাট, মহেশতলা, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, দেগঙ্গা সহ বাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তাকে আব্বাসের বিরুদ্ধেই জোরালো প্রচার চালাতে হচ্ছে। কারণ দুই ২৪ পরগনার এই এলাকাগুলির পাশাপাশি হাওড়ার একাংশ এবং হুগলির কিছু এলাকায় আব্বাস যথেষ্টই বেগ দিতে পারেন ভোট কেটে তা টের পাচ্ছে সব দলই।