কলকাতা ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী সুর চড়াতে লখনউয়ে পা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি লখনউয়ে নেমেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেছেন। মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় আরও শান দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সরাসরি যোগী আদিত্যনাথকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন তিনি। গঙ্গায় কোভিডে মৃতদের দেহ ভাসানো থেকে শুরু করে উন্নাও গণধর্ষণ – সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই বুঝিয়ে দিলেন, উত্তরপ্রদেশের মাটিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে অখিলেশের হাত কতটা শক্ত করে ধরতে তৎপর তৃণমূল।
মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী লখনউয়ে যৌথ ভারচুয়াল প্রচার শুরু করেন অখিলেশ যাদব-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশের সমর্থনে এত তৎপর হওয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধন্যবাদ জানান সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো। এরপর নিজে অল্প সময় বক্তব্য শেষ করে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন মমতার দিকে। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় চড়া সুর তোলেন। যোগীর উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, আগে ক্ষমা চান, তারপর ভোট চাইবেন।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লডা়ইয়ের জন্য মমতা সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে ডাক দিয়েছিলেন সোমবারই। বলেছিলেন, অখিলেশের লড়াইয়ে বিজেপি বিরোধী সকলেই শামিল হোক। আমি চাই, সপা জিতুক, বিজেপি হারুক। মঙ্গলবারও একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। বললেন, বিজেপিকে হঠাতে অখিলেশের লডা়ইয়ে শামিল হয়ে আমি আজ এখানে এসেছি। আবার ৩ তারিখ বারাণসী যাব। সেখানেও প্রচার করব। আমার বিশ্বাস, এখানে অখিলেশরাই জিতবে, বিজেপি হারবে।
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু মমতা কেন প্রচারের জন্য উত্তর প্রদেশকে বেছে নিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা আগেই জানিয়েছিলেন, গোয়া অন্য কেউ দেখছে বলে তিনি আপাতত যাচ্ছেন না। তবে পঞ্জাবও যে তাঁর পছন্দের তালিকায় আছে, সে কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এ দিন মমতা উল্লেখ করলেন, পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশকেই বেছে নিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেন, ‘উত্তর প্রদেশে উজ্জতের লড়াই’।