কলকাতা ব্যুরো: লকডাউনের পর গোটা দেশ আনলক হয়েছে। তবে রাতে কারফু জারি আছে। তারই মধ্যে কলকাতার শোরুম থেকে মেঘালয় পাড়ি দিলো এক নতুন জিপ। শিলংয়ে সেই জিপ মাঝ রাতে দুর্ঘটনা ঘটালো।
১ আগস্ট মাঝ রাতে শিলংয়ের মালকি এলাকায় সেই গাড়ি রাস্তার ধারে কোনো দোকানে ধাক্কা দিলেও কোনো বাধা ছাড়াই পৌঁছে গেল মেঘালয়ে মালিকের ডেরায়। প্রায় ৭০ লাখি সেই জিপ কলকাতার থেকে কিনেছেন জনৈক সঞ্জয় এ সাংমা। যিনি আবার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সিকে সাংমার।
ফলে স্বাভাবিক নিয়মে যে প্রশ্নগুলি ওঠে সে সব প্রশ্ন এ ক্ষেত্রে উঠলেও তার জবাব মেলেনি। কী করে কারফু চলার মধ্যেও কলকাতা থেকে এত রাস্তা পেরিয়ে গাড়ি রাতের বেলায় পাড়ি দেয় সে প্রশ্ন উঠেছে। আবার নতুন গাড়ি এতদূরে ডেলিভারির ব্যবস্থা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আর সব কিছুর শেষে মোটামুটি জবাব একটাই, প্রভাবশালীদের জন্য নিয়ম নাস্তি।
শিলং টাইমস প্রথম খবরটি করতে গিয়ে কথা বলে ইস্ট খাসি জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে। তিনি জানিয়ে দেন, দুর্ঘটনার ব্যাপারে কোনো এফআইআর এমনকি জেনারেল ডাইরি পর্যন্ত হয়নি। দু’পক্ষই ব্যাপারটা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছেন। ২৬ লক্ষ জনসংখ্যার মেঘালয়ে এখন পর্যন্ত ১০০৫ জন করোনা আক্রান্ত। এই রাজ্য করোনা লকডাউনের প্রথম থেকেই চূড়ান্ত কড়াকড়ি করে। এমনকি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গাড়ি নিয়ে দায়িত্ব নিতে যান ২৬ এপ্রিল। তিনি শপথ নেওয়ার পরেই তাঁকে হোম কোয়ারইন্টাইনে থাকতে হয় রাজ্যের তৈরি বিধি মেনে। রাতে সেখানে কারফু জারি রয়েছে।
এই অবস্থায় শুধু রাজ্যের প্রভাবশালী পরিবারের লোকের গাড়ি বলেই কী তা আইন ভেঙেও পাড় পেয়ে যায়। প্রশ্ন তুলেছে সেখানকার সাধারণ মানুষ থেকে মিডিয়াও।