রাঢ়ি, বঙ্গালী, বারেন্দ্রী, কামরূপী, ঝাড়খণ্ডির মতো বাংলা ভাষার যেমন পাঁচটি উপভাষা আছে, বাংলার রান্নারও তেমনই রয়েছে স্পষ্ট প্রকারভেদ। সাদা চোখে শুধুমাত্র ঘটি-বাঙালের রান্নার ফারাকই নয়, পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন, কলকাতা, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরবঙ্গের রান্নাও কি এক? একই স্বাদের ? নাকি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম,ময়মনসিংহ, বরিশালের রান্নার পদ্ধতিতে কোনো ফারাক নেই !

মুগ এমনই একটি ডাল যা আমিষ নিরামিষ,দুই ভাবেই রান্না করা যায়। প্লেন ভাজা মুগ ডাল ছাড়াও উচ্ছেদ করলা দিয়ে কাঁচা মুগের তেতোর ডাল, লাউ দিয়ে, চাল কুমড়ো দিয়ে, নারকেল দিয়ে, গাজর-ফুলকপি-কড়াইশুঁটি দিয়ে কিংবা মাছের মাথা দিয়ে অনবদ্য স্বাদ মুগ ডালের। আজ আমরা রান্না করছি গাটি কচু, চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে মুগ ডাল। যা বিশেষত চট্টগ্রামের একটি পদ। ৬০-৬০ বছর আগে দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়েছিলেন যারা, তাদের অনেকেই আজও সযত্নে তাদের হেঁসেলে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই পদটিকে। কথায় বলে, আপ রুচি খানা। কথাটা ঠিকই। কিন্তু যদি না-ও পরখ করেন, তাও জানতে ক্ষতি কি !

উপকরণ:

(৫ জনের আন্দাজে)
মুগ ডাল: ১৫০ গ্রাম
গাটি কচু: ২৫০ গ্রাম
চিংড়ি শুঁটকি: ৩০ গ্রাম
শুকনো লঙ্কা: ২-৩ টি
নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো: আন্দাজ মতো
সর্ষের তেল: সামান্য পরিমাণ
রসুন কোয়া: ৪ টি

পদ্ধতি:

প্রথমে গাটি কচুগুলোকে আলাদা করে সেদ্ধ করে নিন। তার খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে নিন। শুকনো কড়াইয়ে মুগ ডাল ভেজে নিয়ে তাতে জল দিয়ে সেদ্ধ করুন। এরপর মুগ ডালে কচুগুলো দিয়ে বাকিটা সেদ্ধ করে নিন।

কড়াইয়ে অল্প পরিমাণ তেল গরম করে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা, কুচানো রসুন ফোরণ দিয়ে কচু সহ ডালটি দিয়ে ফোরণ দিয়ে নিন। তার আগে চিংড়ি শুঁটকি গরম জলে ধুয়ে তেলে খানিক ভেজে ডালে ফোরণের সময়েই দিয়ে দিন। একটু ফুটলে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেলো গাটি কচু, চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে মুগ ডাল।

Share.

1 Comment

  1. debjani mukherjee on

    Gaathi Kochu r recipe ta besh Valo laglo….those who doesn’t like shutki , can try with simple small prawns…I think with garlic I can add some onion and tomato too during tempering …and at last garnish with fresh coriander leaves…taste will not be bad .

Leave A Reply

Exit mobile version