কলকাতা ব্যুরো: টিআরপি জাল কেলেঙ্কারিতে মুম্বাই পুলিশের তলব পেলেও এখনই তাদের সামনে হাজির হচ্ছেন না রিপাবলিক টিভি চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার। শনিবার তিনি এক চিঠিতে মুম্বাই পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন, শনিবার তার পক্ষে মুম্বাই পুলিশের সামনে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে রিপাবলিক টিভি সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি দ্রুত শুনানি হওয়ার কথা। সুপ্রিমকোর্টের ওই মামলার পরেই তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।

এদিকে মুম্বাই পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা টিআরপি কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। গোটা ঘটনায় বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ ইকোনমিক আফেন্স উইং করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি পরাগ মানেরি। টিআরপি বাড়ানোর জন্য কিছু বাড়িতে পয়সা দিয়ে বক্স বসিয়ে ২৪ ঘন্টা নিউজ চ্যানেল চালিয়ে রেখে টিআরপি বাড়ানোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ২০০১ সালে এমন একটি মামলায় বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়, মুম্বাই হাইকোর্ট থাকাকালীন শুনানিতে যে রায় দিয়েছিলেন, তা বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্টই প্রাসঙ্গিক।

তিনি সে সময় জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, টিআরপি দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বা তার অধীনস্থ কোন সংস্থা থাকা উচিত। সে ক্ষেত্রে এ নিয়ে কোনো কেলেঙ্কারি হলে তাতে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা সম্ভব। কেননা এখন টিআরপি যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান দেয়, তা মূলত চলে বিজ্ঞাপন সংস্থা ও টিভি চ্যানেল মালিকদের উদ্যোগে। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে ছিলেন প্রায় দু’দশক আগে ওই বিচারপতি। সেই সময় জনস্বার্থ মামলা অভিযোগ এসেছিল, কোন কোন টিভি চ্যানেলের টিআরপি কারচুপি নিয়ে। বাস্তবে তা নিয়ে কেন্দ্র এতদিন হস্তক্ষেপ করেনি।

আবার সুশান্ত সিং রাজপুত রহস্য মৃত্যু নিয়ে একশ্রেণীর চ্যানেলের মিডিয়া ট্রায়াল নি য়েও মামলায় ওঠা প্রশ্নে মুম্বাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রায় একই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। চ্যানেল গুলির টিআরপি না হলেও, এক্ষেত্রে বিচারপতি দত্ত এদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা জানতে চেয়েছেন একটি মামলায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version