প্রতিবেদন ও ছবি- গৌর শর্মা
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য আসানসোলের জিতেন্দ্র তেওয়ারি ২০১৬ তে টি,এম,সির জার্সি পড়ে পান্ডবেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও, ২০২১ এ দল ত্যাগ করে বি,জে, পির জার্সিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে পুনরায় অবতীর্ণ হয়েছেন। জামা বদল হলেও কেন্দ্র সেই পান্ডবেশ্বর। দিদির অনুপ্রেরণা তলানীতে ঠেকতেই সুযোগ বুঝে ঝট-জলদি বি,জে,পিতে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
২০১৬ নির্বাচনে তিনি সি,পি,আই,এমের গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জীকে ৫৪৭০ ভোটে পরাজিত করে বিধায়ক হন। এবারে সি,পি,আই,এমের প্রার্থী সুভাষ বাউরী। ইতিহাসে এম,এ এবং পার্টির সর্বক্ষনের কর্মী । অপর প্রতিদন্ধী তৃণমুল কংগ্রসের পান্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, এক সময়ের তারই লড়াইয়ের সাথী । জিতেন্দ্রের বক্তব্য, পান্ডবেশ্বরে বিধায়ক থাকাকালীন আমি প্রচুর উন্নয়ন মুলক কাজ করেছি। কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই সরকার থাকলে শিল্প ও এলাকার উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে।নির্বাচনী প্রচারের চোরা স্রোতে অনেক খানি এগিয়ে সি,পি,আই,এমের প্রার্থী সুভাষ বাউরী ।ডোর টু ডোর প্রচারের উপর তিনি জোর দিয়েছে বেশী। সুভাষ বাউরী বলেন, টি,এম,সি ও বি,জে,পি হল একই বাড়ির দুই সন্তান। যে যখন পারে এ ওর জামা পড়ে নির্বাচনে লড়েন। কয়লা খনির বেসরকারীকরণ রুখতে ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে টি,এম,সি ও বি,জে,পি উভয়কেই উৎখাত করা প্রয়োজন।
পান্ডবেশ্বর মোড়ে ছোট্ট পানের দোকানে পান খাচ্ছিলেন ই,সি.এল কর্মী রমেন দাস ও বিদ্যূৎ হাজরা। তাদের আলোচনায় কান পাততেই শোনা গেল বহিরাগত –ভুমি পুত্র প্রসঙ্গ। তাতে এগিয়ে নরেন চক্রবর্তী। প্রচারে এগিয়ে থাকলেও , বিশ্বাস যোগ্যতায় অনেকখানি পিছিয়ে জিতেন্দ্র ।