কলকাতা ব্যুরো: তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সারির দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুক্রবার পথে নেমেছে সিপিএম এবং বিজেপি। এ বিষয়ে শনিবার মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিরোধীদের এই কটাক্ষকে ‘অসভ্যতা’ হিসাবে ব্যাখ্যা করে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ধৈর্য হারাবেন না। পাশাপাশি, তাঁদের মুখ বন্ধ রাখার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
এরপর ফের ইডি-সিবিআইয়ের সক্রিয়তা নিয়ে সরব হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ইডি-সিবিআই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। রাস্তায় নামিয়ে আসছে।
শনিবার কলকাতা পুরসভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলেন ফিরহাদ। জানান, তাঁদের একটা সামাজিক সম্মান রয়েছে। মেয়রের কথায়, দেখুন গত কয়েক দিন ধরে আমার বিরোধী বন্ধুরা অসভ্যতা করেছেন। আইন আইনের পথে চলবে। তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। কেউ যদি দোষী হয়, তা হলে সে শাস্তি পাবে। কিন্তু আমাদের একটা সামাজিক সম্মান রয়েছে। সেই সামাজিক সম্মান হরণ করার অধিকার ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী কাউকে দেয়নি।
ফিরহাদ আরও জানান, বিরোধীদের এই ‘কাণ্ডকারখানা’য় দলীয় নেতা-কর্মীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। দলীয় কর্মীদের আবেদন করে বলেন, যে ভাবে সামাজিক সম্মান হরণ করা হচ্ছে, তাতে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। অনেকের এই ধরনের অসভ্যতামি দেখে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমার মত অনেকেরই অসীম ধৈর্য নেই। যাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, তাদের কাছে আমি আবেদন করব, এই ধরনের কথা থেকে বিরত থাকতে। সবার উপরে মানুষ সত্য, মানুষের উপরে কেউ নেই। মানুষ ঠিক করবে কে দোষী বা কে দোষী নয়।
অনুব্রতের গ্রেফতারির পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ বলেছিলেন, তাঁর দল তৃণমূলের সকলে চোর নন। শনিবার আবার সে কথার পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের সংবাদমাধ্যমে যা দেখিয়েছেন, তা নিশ্চিত ভাবে আমাদেরও ভাল লাগেনি। কিন্তু এটাও ঠিক, সব তৃণমূলের কর্মী বা নেতাই চোর নয়। তৃণমূলের সবাই খারাপ নয়। যে কারণে অনেকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে।
তবে কোনও দলীয় কর্মী হিংসার পথ ধরলে কোনও ভাবেই তা মানবে না দল, কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ। বলেন, আমরা তো বার বার বলছি ‘ইনটলারেন্স’ কোনও রকমেই মানা হবে না।