কলকাতা ব্যুরো: লকডাউনের প্রথম দুই পর্ব পর্যন্ত অন্তত উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাই ছিল সবুজ তালিকায়। যদিও পরবর্তী সময়ে ক্রমশ বদলাতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিটা।
পরিস্থিতি যে এখন আর মোটেই উপেক্ষা করার মতো জায়গায় নেই তা স্পষ্ট বৃহস্পতিবারে আক্রান্তের সংখ্যার দিকে নজর রাখলেই। গতকাল শুধু শিলিগুড়ি শহরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন। মালদহে সেই সংখ্যা ৬৭। রাজ্যের উত্তর প্রান্তের জেলাগুলোর বাকীগুলোতে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা যদিও ছিল ১০ র নিচে। গতকালই উত্তরবঙ্গে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তারমধ্যে ৩ জনই শিলিগুড়ির। পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা মানছে প্রশাসনও। সে কারণেই শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো শহর গুলিতে সার্বিক লকডাউনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, অবস্থানগত কারণে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো শুরুর পরেই বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। শিলিগুড়ি বড় শহর। ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে এখানে বসবাস বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের। সঙ্গে এটি নেপাল এবং গোটা উত্তর পূর্ব ভারতেরই প্রবেশদ্বার। আলিপুরদুয়ার জেলাও ভূটান এবং অসম সীমান্তে। কোচবিহারে রয়েছে বাংলাদেশ এবং অসম সীমান্ত। পাহাড়ের জেলাগুলোর সঙ্গেও রয়েছে নেপাল এবং সিকিমের যোগাযোগ। উত্তর দিনাজপুরের রয়েছে বিহার সীমান্ত। এছাড়াও উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত।
পেটের তাগিদে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। এখন জীবিকা হারিয়ে জীবন বাঁচাতে ঘরে ফিরছেন তাঁরাও।
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোয়ারান্টিন সেন্টার যথেষ্ট সংখাতেই রয়েছে। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করে তার রিপোর্ট আসতেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। তা থেকেও ঘনাচ্ছে বিপদ।