কলকাতা ব্যুরো: স্বপ্ন ছিল, বিমান সেবিকা হওয়ার। কিন্তু পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। বিমান সেবিকার প্রশিক্ষণের খরচ টানা কার্যত অসম্ভব। তাই প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেও মাঝপথে ছেড়ে দিতে হয়েছিল হরিদেবপুরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে। এরপরই মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিল সে। আর সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিল ওই ছাত্রী।
শুক্রবার হরিদেবপুর থানার নবপল্লি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে এক স্কুল ছাত্রীর দেহ (Suicide) উদ্ধার হয়। নাম মামন দাস, বয়স ১৭ বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের ঘরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে সে। সকালবেলা বাড়ির লোক বহুবার ডাকাডাকি করেও সাড়া পায়নি। পরে দরজা ভেঙে মামনকে উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় তার মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ছাত্রীর ঘর থেকে একটি জলের বোতলও মিলেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, বিমান সেবিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখত মামন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের খরচ অনেক। বিশেষ কোর্সে ভর্তি হয়েও অনটনের জেরে কোর্স ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এরপর থেকেই অবসাদে ডুবে যায় মামন। গত ১০ তারিখও আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করে সে। জানা গিয়েছে, মাকে ভিডিও কল করে ঘুমের ওষুধ খায়। এরপর তিনদিন হাসপাতালে ভরতি ছিল সে। ১৩ তারিখ ছাড়া পেয়েছিল হাসপাতাল থেকে। এরপর ফের ১৫ তারিখ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করল মামন।
স্বাভাবিকভাবেই মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। তার মায়ের বিলাপ, অর্থের অভাবে মেয়ের স্বপ্নপূরণ করতে পারলাম না। তাই মেয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।