কলকাতা ব্যুরো: চিত্রনাট্য মেনেই রাজস্থান বিধানসভার প্রথম দিনের অধিবেশন শেষ হল শুক্রবার। বিনা বাধায় আস্থা ভোটে জয়ী হল অশোক গেহলটের সরকার। অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগই পেলেন না বিজেপি বিধায়করা।
এমনিতেই দলের ১০০ জন বিধায়ককে রিসর্টে ভরে রেখে রাজস্থান বিধানসভায় নিজের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে রেখেছিলেন গেহলট। শচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী মিলে আরও ১৮ জন পাশে দাঁড়ানোয় বিজেপির আর কিছু করার ছিল না। কর্ণাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশের পুনরাবৃত্তি এড়ালো রাজস্থান।
দলগত ভাবে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় লাভ হল সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রাথমিক ভাবে নিষ্কন্টক হলেন ঘোড়েল রাজনীতিবিদ অশোক গেহলট। আপাতত সরকার ও দল পরিচালনায় তিনিই শেষ কথা। বিদ্রোহে ইতি টেনে শচিন পাইলট তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বে আস্থা রেখেছেন বটে, কিন্তু ফিরে পাননি উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দুটি। এমনকি, বিধানসভায় তাঁর বসার আসনটিও অধ্যক্ষের নির্দেশে বদলে গেল শুক্রবার। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এতদিন যে চেয়ারে তিনি বসতেন, তাতে আর অধিকার থাকলো না পাইলটের। সাধারণ বিধায়কের আসন বরাদ্দ হল তাঁর জন্য। পাইলট অবশ্য প্রকাশ্যে এজন্য কোন অস্বস্তি বুঝতে দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, “আসনে কী বা আসে যায়! আমি আগে সরকারের অংশ ছিলাম, এখন নই। আমি কোথায় বসলাম, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল আমি মানুষের হৃদয়ে ও মনে আছি কিনা।” এই মন্তব্যে তিনি জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে থাকার বার্তা দিলেন বলে মনে হচ্ছে। গেহলটের সঙ্গে বিরোধ শেষের বার্তা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বুঝিয়েছেন, লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। তাঁর কথায়, “সমস্ত বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, খুব শিগগির রোডম্যাপ ঘোষিত হবে, যাতে সেই সমস্ত বিষয় থাকবে, যেগুলি তোলা হয়েছিল।” মনে করা হচ্ছে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁকে যে আশ্বাস দিয়েছেন, তার উল্লেখ করেছেন শচিন। ওই রোডম্যাপে তাঁর সাংগঠনিক পূনর্বাসন এবং তাঁর অতৃপ্ত বাসনার কী হয়, সেটাই এখন দেখার। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্বই তাঁর প্রধান বাসনা সন্দেহ নেই। যদিও সেই ইচ্ছে পূরণের আশু উপায় আছে বলে মনে হচ্ছে না।
Previous Articleগালওয়ান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি
Next Article আট লক্ষেরও বেশি
Related Posts
Add A Comment