Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»বাংলায় জমিদার আর বিপ্লবীদের দুর্গা পুজো
এক নজরে

বাংলায় জমিদার আর বিপ্লবীদের দুর্গা পুজো

adminBy adminOctober 12, 2023Updated:October 13, 2023No Comments5 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

বাংলার স্বাধীনতার শেষ সলতেটুকু নিবেছিল পলাশীর যুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বনিয়াদি শাসন শুরু হয়। কোম্পানিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে বাংলার মুষ্টিকয়েক জমিদার। কোম্পানির যুদ্ধ জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজা নবকৃষ্ণ দেব কোলকাতার শোভাবাজারের বাড়িতে ধুমধাম করে দুর্গা পুজো করেন। নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ ছিলেন লর্ড ক্লাইভ ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তারা। কোম্পানি তথা ইংরেজদের তুষ্ট করতে বাংলার জমিদারদের দুর্গা পুজো শুরুর পরবর্তী সময়ে স্বদেশী আন্দোলনের যুবকদের একত্রিত এবং স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে দুর্গা পুজোর আয়োজন শুরু হয়েছিল। সেই দুর্গা পুজো ছিল উপলক্ষমাত্র, উৎসব হলেও দেবী বন্দনার সঙ্গে দেশ মাতৃকার বন্দনায় তরুণ প্রজন্মকে জাগরিত করা।     

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে বারোয়ারি দুর্গোৎসবকে বেছে নিয়েছিলেন। বার্মার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কলকাতায় ফিরে নেতাজি বিভিন্ন সামাজিক এবং সেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। সেই সুবাদে তিনি বেশ কিছু বারোয়ারি দুর্গা পুজোর সঙ্গে যুক্ত হন। দক্ষিণ কোলকাতার আদি লেক পল্লীর পুজো, মধ্য কোলকাতার ৪৭ পল্লীর পুজো, উত্তর কোলকাতার বাগবাজার, কুমারটুলি, সিমলা ব্যায়াম সমিতি- এই বারোয়ারি পুজোগুলির সঙ্গে নেতাজী বিভিন্ন সময়ে যুক্ত ছিলেন। এই পুজোগুলিতে উপস্থিত হয়ে সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে একতা আর জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে চেষ্টা করতেন। দুর্গা পুজোকে উপলক্ষ করে এই অঞ্চলের মানুষের মনে স্বদেশী ভাবধারা জাগিয়ে তোলাই ছিল এই পুজোর উদ্যোক্তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এসব পুজো প্রাঙ্গণে পুজোর ক’দিন স্বদেশী গান-বাজনার ব্যবস্থা হতো। স্বাধীনতা সংগ্রামী চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও এসব সার্বজনীন দুর্গা পুজোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ফলে পুজোমণ্ডপগুলি হয়ে উঠলো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মিলনস্থল। নেতাজি পুজো প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে তাকে দেখার জন্য মানুষের ঢল নামতো।

ঋষি অরবিন্দ ও বাঘা যতীনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুগান্তর দলের নেতা বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু সিমলা ব্যায়াম সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমিতি ছিল লাঠিখেলা, তলোয়ার চালনা, কুস্তি শেখার প্রধান আখড়া। দেশমাতৃকার আরাধনার উদ্দেশ্য নিয়ে অতীন্দ্রনাথ সিমলা ব্যায়াম সমিতির উদ্যোগে দুর্গোৎসব শুরু করেন। সারা বছরের শরীর চর্চা আর সাহসিকতার পরীক্ষার দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হতো মহাষ্টমীর দিনটিকে। এই দিনটি তারা বীরাষ্টমী দিবস হিসেবে পালন করতেন। সেই অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গার সামনে লাঠি খেলা, ছুরি খেলা, কুস্তি, মুষ্টিযুদ্ধ আর তরবারি খেলার মাধ্যমে সাহস আর শক্তি দেখানোর পরীক্ষা হতো। সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে এই বারোয়ারি পুজো কমিটির গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি বেশ কয়েক বছর এই বীরাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন। সিমলা ব্যায়াম সমিতির তৃতীয় বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, সে বছর খুব জাঁকজমকভাবে বীরাষ্টমী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শরৎচন্দ্র বোস, সুভাষচন্দ্র বোস, ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, কিরণ মুখোপাধ্যায়, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিরা।

১৯৩০ সালে নেতাজি কোলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ওই বছরেই সিমলা ব্যায়াম সমিতি সভাষচন্দ্র বসুকে প্রথম কোনো সার্বজনীন পুজো কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করে। নেতাজির উদ্যোগে ও স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোয় প্রতিমাকে দেশীয় খাদি বস্ত্র পরানোর চল শুরু হয়। দেবীর পরনের অলঙ্কার সবই মাটির। অস্ত্র দেশীয় লোহা, তামার। বীরাষ্টমী উৎসব ছাড়াও মণ্ডপে পুতুল খেলা, যাত্রা পালা ও কবিয়াল গানের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হতো। এছাড়াও পুজো প্রাঙ্গনগুলোতে বিভিন্ন বাণী লেখা পোস্টার শোভা পেত। সে সময়ের ইংরেজি পত্রিকা ‘অ্যাডভান্স’-এ সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোকে ‘স্বদেশী ঠাকুর’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার সাহস করতো না। কিন্তু সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোয় বিপ্লবীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় ১৯৩২ সালে ইংরেজ সরকার এই পুজোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরপর তিন বছর এই পুজো নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৩৯ সালে আবার নতুন করে এই পুজো শুরু হয়। সেবার এই পুজোয় অগ্রণী ভূমিকা নেন স্বামী বিবেকানন্দের ভাই মহেন্দ্র দত্ত।

১৯১৯ সালে বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব শুরু হয়। শোনা যায়, কয়েকজন যুবক কোনো অভিজাত বাড়ির পুজো দেখতে গিয়ে অপমানিত হয়ে এই সার্বজনীন পুজো শুরু করার উদ্যোগ নেন। ‘নেবুবাগান বারোয়ারি দুর্গাপুজা’ নামে এই পুজো প্রথম শুরু হয়। বাগবাজারের এই পুজোয় এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ১৯৩০ সালে কলকাতা পুরসভার ওল্ডারম্যান দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি হন। তারই উদ্যোগে এই পুজো এক নতুন রূপ পায়। দেশাত্মবোধ ও স্বদেশিকতার চেতনাবোধ জাগাতে তিনি এই পুজোর নামকরণ করেন, ‘বাগবাজার সার্বজনীণ দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী’। প্রকৃতপক্ষে ওই বছর থেকেই এই পুজোর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের শুরু। সে বছরই সুভাষচন্দ্র এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত হন। সুভাষ চন্দ্র ১৯৩৮-১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এই দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ১৯৩০ এবং ১৯৩৯ সালে বাগবাজারের সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

সেই সময় অনুশীলন সমিতির লাঠিখেলা, শরীর চর্চা ইত্যাদি প্রদর্শন করার জায়গা ছিল বাগবাজার সার্বজনীন পুজো প্রাঙ্গণ। এই অনুষ্ঠানটি হতো বীরাষ্টমী উৎসবের দিনে। ১৯৩৬ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি সরলা দেবীর পরিচালনায় বাগবাজারে প্রথম বীরাষ্টমী উৎসব শুরু হয়। এই পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,“কাপুরুষতা, ভীরুতা সব মায়ের চরণে অর্পণ করে দেশমাতৃকার পুজোর জন্য তৈরি হতে হবে। সে পূজার জন্য প্রয়োজন শুধু ত্যাগ।” উল্লেখ্য, আজও মহাষ্টমীর দিনে এখানে বীরাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। জাতীয়বাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই পুজোর সূচনা বলে এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল স্বদেশ ভাবনার এক নব জাগরণ। সুভাষ চন্দ্র ছাড়াও আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, নলিনীরঞ্জন সরকার এবং আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এই ভাবে দুর্গাপুজোর মাধ্যমে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে স্বদেশী চেতনার এক নব জাগরণ। বিভিন্ন জায়গায় সার্বজনীন পুজোর মাধ্যমে ঘটতে থাকে ব্রিটিশ বিরোধী চেতনার এক নব উন্মেষ। সেই উদ্যোগের মধ্যমণি হিসেবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম জড়িয়ে থাকলেও তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও অনেক সাহসী বিপ্লবী যোদ্ধার নাম। বাঙালির ঐতিহ্য, সাহসিকতা, আত্মসম্মানবোধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের এক পর্ব এর মধ্যে দিয়ে সূচিত হয়।  

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleহামাস কী ইসরাইলের দুর্বলতার সুযোগ নিল  
Next Article মহাযানী বৌদ্ধরীতিতে দুর্গাপুজো 
admin
  • Website

Related Posts

June 14, 2025

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

3 Mins Read
June 13, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

3 Mins Read
June 10, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

4 Mins Read
June 8, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

4 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

June 14, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

June 13, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

June 10, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

June 8, 2025

লক্ষ লক্ষ গাছ লাগালেই কি পরিবেশ রক্ষা পাবে?  

June 5, 2025

ইলিয়ারাজাঃ সঙ্গীত, সমাজ, রাজনীতি এবং

June 3, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?