কলকাতা ব্যুরো: আগামী শীতে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি বিপদ হতে পারে যুবাদের। এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল হতে পারে অন্যান্য সব সমস্যা থেকে প্রাথমিক সমাধানের পথ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনা নিয়ে বেশকিছু সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মে ডিরক্যাল সাইন্সেস বা এইমসের চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাতাসে দূষণ বেড়ে যাওয়া, শীতে করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করার একটা বড় কারন। এর ফলে ইনফেকশন হবে এবং গলা ও বুকে নানান সমস্যা তৈরি হবে। যা করোনা আক্রান্ত হলে অসুস্থতাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
ইতিমধ্যেই রাশিয়া এবং ইংল্যান্ড করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা প্রত্যক্ষ করেছে শীতের মধ্যে। ফলে সেই একই সমস্যা ভারতেও না হওয়ার কোন কারণ নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল দিল্লি সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, শীতে প্রতিদিন ১৫ হাজারের কাছাকাছি করে করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সবচেয়ে এক্ষেত্রে খারাপ লক্ষণ হতে পারে।
দুর্গাপুজো, দশেরা বা ছট পূজার মতো উৎসবে এবার কাটছাঁট করা যথেষ্টই বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, করোনা টিকা বাজারে স্বাভাবিকভাবে আসতে আগামী বছর জুলাই বেরিয়ে যাবে। নাগরিকদের এই চিকিৎসার ব্যাপারে সচেতন করাটা একটা বড় কাজ। বিশেষ করে প্যারাসিটামল ব্যাবহার। নিজেরাই যারা নানান সাধারন লক্ষণ দেখবেন জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শরীর ব্যথার ক্ষেত্রে, সেখানে প্যারাসিটামল সর্ব রোগ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শীতের সময় যেহেতু বাতাসে দূষণ বেড়ে যাবে এবং যুবসমাজকে বাইরে বের হতেই হবে, সেক্ষেত্রে তারা বিধিনিষেধ না মেনে চলাফেরা করলেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন। একদিকে মাস্ক ব্যবহার, অন্যদিকে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখা আবার তার সঙ্গে গরম জলের ভাব নেওয়া খুবই জরুরী।