কলকাতা ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশ সরকার হাথরাসের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। তাতে খুশি নয় মৃতের পরিবার। তারা চায় এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হোক। যদিও যোগী সরকার তদন্তভার দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রবিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হাথ রসে পৌঁছে যায়। প্রথমে দলটি বুলাগাড়ি গ্রামের লোকের সঙ্গে কথা বলে। এরপরে পরিবারের বক্তব্য রেকর্ড করে।

সিবিআই এই ঘটনার তদন্তের জন্য বর্ষীয়ান আইপিএস অফিসার ভগবান স্বরূপ এর নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করেছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার মনে করে সিবিআই তদন্তে সুবিচার পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হিসেবেই কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবেই তারা দেখছেন সিবিআইকে। তাই বিচার বিভাগের তদন্তে এখন নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার আশা করছে নির্যাতিতার পরিবার।

একদিকে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে ১৪ সেপ্টেম্বর গণধর্ষণ ও তারপরে নৃশংভাবে মারধরের অভিযোগ। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় তিনি মারা যান।

আর তার পরের রাতেই পুলিশ পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে দেহ নিয়ে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় হাথরাসের পুলিশ সুপারসহ সাত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু গোটা ঘটনার পেছনে যে ষড়যন্ত্র রয়েছে, সিবিআই তদন্ত তার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না বলেই নির্যাতিতার পরিবার এখন জুডিশিয়াল কমিশন বসিয়ে বিচার করার দাবি তুলেছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version