কলকাতা ব্যুরো: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার আদালত সেই রায় দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ফের তৎপর হল সিবিআই। বিকেলেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এ দিন বিকেলে তিনজন আধিকারিক সেই অফিসে যান, তার রয়েছেন একজন ডেটা বিশেষজ্ঞ। এ দিন তাঁরা মূলত সার্ভার রুমে যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এ দিন পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথাও বলতে পারেন তাঁরা।
মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের পর পর্ষদের নতুন সভাপতি পদে এসেছেন গৌতম পাল। শুক্রবার যখন সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছেছেন, তখন পর্ষদেই রয়েছেন গৌতম পাল। তাই পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে আধিকারিকরা কথা বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করে সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু শুক্রবারের শুনানিতে ফের ধাক্কায় খায় পর্ষদ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখা হয়েছে। শুধু সিবিআই তদন্তই নয়, ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করার যে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশও বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
সকালে আদালতের রায়ের পরই বিকেলে পর্ষদের অফিসে গেলে তদন্তকারীরা। আগেও সার্ভার রুমে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলেই মূলত অভিযোগ। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতেই বারবার পর্ষদের অফিসে যাচ্ছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, তদন্তের অগ্রগতি হলেও চাকরি প্রার্থীরা বারবার প্রশ্ন তুলছেন, কবে হবে তাঁদের চাকরি। রাজ্য সরকারের দাবি, সার্ভার রুম বন্ধ থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।