কলকাতা ব্যুরো: রাত পোহালেই রাজ্যের চার জেলার ৪৩ বিধানসভায় ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন শুরু হবে। এবার উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর দিনাজপুরের বিধানসভা গুলিতে ভোট দেবেন এক কোটি তিন লক্ষ ভোটার। মোট ৩০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ। যার মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ২৫ জন আর তৃণমূলের ২৪ জন। একজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
এই পর্যায়ের ৪৩ টি বিধানসভায় একদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে করোনা বিধি মানানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। এর সঙ্গে চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচি বুথে গোলমালে চারজনের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা নিয়ে এবার বুথের সামনে আরও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে কমিশন। এবার বুথ পাহারায় ৭৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ৪৩ কেন্দ্রে মোট ১০৭১ কোম্পানি বাহিনী পাহারায় থাকবে। এদের মধ্যে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটে ১৪ কোম্পানি, বনগাঁ পুলিশ জেলায় ৬৯ কোম্পানি, বারাসাত ৫৯ কোম্পানি, ব্যারাকপুর ১০৭, বসিরহাট ৪০, বিধান নগর কমিশনারেট তিন, দক্ষিণ দিনাজপুর তিন, ইসলামপুর ৮২ কোম্পানি, কৃষ্ণনগর ১৬৩ ও পূর্ব বর্ধমান ১৪৩ এবং
রায়গঞ্জ ৯৬ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। বুথের 200 মিটার পর্যন্ত 144 ধারা জারি করা হয়েছে ফলে ওই এলাকার মধ্যে একাধিক লোক একসঙ্গে যাত্রা করলে সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই দফায় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিজেপির মুকুল রায়, সিপিআইএম শ্রীকুমার মুখার্জির মত হেভিওয়েট নেতারা। ফলে এই কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বাড়তি নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।