Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»ফরোয়ার্ড ব্লকের সিংহ ও আন্দামান
এক নজরে

ফরোয়ার্ড ব্লকের সিংহ ও আন্দামান

অতীশ পালBy অতীশ পালMarch 12, 2023No Comments5 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

পঞ্চমপর্ব

প্রায় সারা দিন জাহাজের স্পিকারে খুব সুন্দর বাঙলা বা হিন্দিতে পুরানো গান বাজানো হয়। তবে বাঙলা গানের উপর রয়েছে বেশ খানিকটা পক্ষপাতিত্ব।  অধিকাংশ যাত্রী এবং জাহাজের কর্মী বাঙালী, হয়তো তাই। বুঝলাম প্রথম দিন রাতে যে সেতারের সুর কানে এসেছিল তার উৎস ছিল জাহাজের এই স্পিকার।

বিকেল থেকে অধিকাংশই জড় হয় উপরের ডেকে। জাহাজ থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত খুব একটা মনোরম এমন নয়। সমুদ্রকে খানিকটা রাঙিয়ে বহুদূরে দিগন্ত রেখার কাছে হঠাৎ করে সূর্য  ডুব দেয় জলে। তবে অস্তরাগের ছটা রয়ে যায় দীর্ঘক্ষণ। তখন আপনা হতেই কেমন যেন মুক হয়ে যেতে হয়। ওই বিশাল সমুদ্রে তখন আমাদের জাহাজের অস্তিত্ব যেন কিছুই নয়। অথচ এর আগে একেই বিশাল বলে ভেবে এসেছি। আজকের দিন হলে কি হতো বলতে পারিনা, তখন কিন্তু ওই অপরিণত বয়সে এমনটাই মনে হয়েছিল। এই বর্ণনায় হয়তো কিছু কল্পনা মিশে গেছে, তবে ভাবটা অকৃত্রিম।

সন্ধ্যার পর  জাহাজ সেজে উঠেছে আলোর মালায়। যদিও এই মাঝ সমুদ্রে তার রূপ দেখার নেই কেউ। স্পিকারে বাজছে রবীন্দ্র সংগীত। একটু পরে ওই স্পিকারের ঘোষণায় জানলাম সিনেমা দেখানো হবে পেছনের চাতালে। কমলদা দের সঙ্গে ছুটলাম সেখানে। দেখলাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে ২০-২৫ জন বসে, একটা ছোট পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখানোর তোড়জোড় চলছে। সিনেমার কথা স্পষ্ট মনে রয়েছে, আমরা সেদিন দেখেছিলাম, ‘কিঙ কঙ’। ওখানেই আলাপ হলো এক বাঙালী অফিসারের সঙ্গে তিনি এই জাহাজের ‘জন সংযোগ অফিসার’ (PRO)। জানালেন প্রায় ৫ দিনের সমুদ্র যাত্রার একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝেই সিনেমার আয়োজন করা হয়। জাহাজে রয়েছে একটা ছোট্ট লাইব্রেরী, চাইলে সেখানে বসে বই পড়তে পারেন। এছাড়া রয়েছে ছোট একটা রিক্রিয়েশন রুম,সেখানে হারমনিয়াম, ডুগিতবলা, খোল ও আরও কিছু বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। ইচ্ছে হলে সেখানে বসে গান বাজনা করতে পারেন। অবসর সময়ে সে গান’বাজনা জাহাজের স্পিকারের সঙ্গে সংযোগ করা যায়। একথা জেনে কল্যাণীর সবাই খুব খুশী। কারণ ওদের দু’জন রীতিমতো গান বাজনা করেন।

পরেরদিন কমলদা দের সঙ্গে বসে গেলাম গান বাজনার আসরে, আন্য দু’চার জন সঙ্গীও গেল জুটে। কল্যাণীর ওই বিএড ছাত্রদের মধ্যে একজন তো রিতীমত দক্ষ গণসংগীত গায়ক। ওঁর গলায়, ‘নাম তার ছিল জন হেনরী’ এখনো স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। আমিও ওদের দলে খুব একটা বেমানান ছিলাম না। সেসময় গলা কাঁপিয়ে অনেক কবিতা মুখস্থ বলতে পারতাম। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্ত, সুনীল গাঙ্গুলি এমনকি নাজিম হিকমতের অনেক কবিতা আমার কণ্ঠস্থ ছিল। জাহাজের স্পিকারে আমাদের গানের সংযোগ হওয়ায় আমরা তো তখন রিতীমত বিখ্যাত। আমাদের এই গানবাজনা  আন্দামানেও আমাদের যথেষ্ট খাতির বাড়িয়ে দিয়েছিল। সে গল্প পরে।

আমার চেয়ে একটু বড়, সুন্দর চেহারার একজনের সঙ্গে আলাপ হলো, সেও একা একাই আন্দামান যাচ্ছে। তবে এর আগেও ঘুরে এসেছে ওখান থেকে।  আন্দামানে ওর দিদি চাকরি করেন, তার ট্রান্সফার হয়ে গেছে। সেকারণে ও এসেছে দিদিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। ওর দিদি কাজ করেন এখানকার ‘Anthropological Museum’ -এ। পরে সে কারণে আন্দামানে এসে খুব ভালো করে এখানকার Anthropological Museum দেখার সুযোগ ঘটেছিল। সেসময় এই Museum এখানকার এক অন্যতম সম্পদ ছিল। বিভিন্ন উপজাতি দের নিয়ে কাজ করা অনেক গবেষকও এখানে ছিলেন। তাঁদের কাছে অনেক রোমাঞ্চকর গল্পও শুনেছি। আর ‘জারোয়া’,’ওঙ্গি’ ‘স্যান্টিনেলিস’ এসব আদিম উপজাতিদের নিয়ে খুব সুন্দর একটা Documentary ছবি দেখেছিলাম মনে আছে।  আমার এই নতুন জাহাজী বন্ধুর নাম এখন আর স্মরণে নেই, তবে এটা মনে আছে ওর বাবা নাকি তখন ছিলেন বর্ধমান জেলার ‘এ ডি এম’।

বিকেলে এই বন্ধুর সঙ্গে জীবনে প্রথম আমার ‘মদেখড়ি’ হয়েছিল  ওই জাহাজেই। ‘মদ’ মানে ‘বিয়ার’। জাহাজে ডাইনিং হলের কাছে ছিল একটা ছোটখাটো ‘বার’। বার বস্তুটিকে এর আগে সিনেমা ছাড়া কোথাও দেখিনি, তাও সেটাকে যে বার বলে সেটাও প্রথম জানলাম জাহাজে এসে। বিয়ারের দামটা এখনো পষ্ট মনে আছে,১১ টাকা। মদ ব্যাপারটাই তখন ভাবতে পারতাম না, তাও আবার ১১টাকা? আমার ওই নতুন জাহাজী বন্ধু বোধহয় বেশ অভ্যস্ত। আমার আপত্তি না শুনে দু’ বোতল বিয়ার নিয়ে এল, আমি এও ভাবতে পারছিলাম না দু’বোতল মদ এক সিটিং এ খাওয়া যায় বলে। আমি মেরেকেটে চোখ-নাক বুজে সিকি গ্লাস বিয়ার খুব কষ্ট করে গিলেছিলাম। বাদবাকি সবটাই খেয়েছিল ওই বন্ধুটি। সেটাও আমার কাছে ছিল চরম বিষ্ময়কর, আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে, এ কতবড় প্রতিভা? যে দু বোতল মদ একসঙ্গে খেয়ে নিতে পারে। পরে  জাহাজের ডেকে নিরিবিলিতে বসে বুঝতে পারছিলাম ওই সিকি গ্লাস বিয়ার খেয়ে আমি অসংলগ্ন বকছি কিন্তু দু বোতল খেয়েও আমার সঙ্গী নির্বিকার। এ বিষ্ময়  ছিল আমার দীর্ঘদিন।

সেসময় ওই জাহাজে আমার ব্যাঙ্কের উল্টো দিকের সাউথ ইন্ডিয়ান ফ্যামিলির কর্তাটিও আমাকে খুব বিস্মিত করেছিলেন।  সারাদিনই প্রায় লোকটা তারই মতো কয়েকজন জুটিয়ে জুয়া খেলে, মদ গাঁজা খায়, সঙ্গে আনা ভাত খেয়েই কাটিয়ে দিল প্রায় ৫টা দিন। লটবহর, পোশাক আশাক সবই অত্যন্ত জীর্ণ ও নোংরা। কিন্তু লোকটার সঙ্গে রয়েছে খুব যত্নে রাখা  অনেকগুলো এলবাম, তার সবকটিতেই দেশের বা দেশের বাইরের প্রায় সমস্ত ভি আই পির ছবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে ওই লোকটা। তখন তো ফটোসপ ছিলো না, তাহলে কি করে সম্ভব দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, জনপ্রিয় অভিনেতা, বিদেশি অতিথি, বিখ্যাত বাবাজী  কে নেই সেখানে? সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ  দাঁড়িয়ে বা বসে আমার উল্টো দিকের সহযাত্রী ওই সাধারণ লোকটি। প্রতিটি ছবিই খুব প্রফেশনাল হাতে তোলা। তখনকার ওই অপরিণত বুদ্ধিতেও বুঝতে পারছিলাম এটা বাস্তব নয়, কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না এটা যোগাড় করা সম্ভব হলো কি ভাবে। লোকটি নাকি জ্যোতিষী এবং চিকিৎসক। বিভিন্ন জড়িবুটি, মাদুলি তাবিজ দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য ও ভাগ্য ফিরিয়ে দেয়। যদিও  নিজের ভাগ্যের দিকে একটুও নজর দেয়নি।

চলবে

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleসাপ্তাহিক রাশিফল ( Weekly Horoscope )
Next Article মধ্যবিত্ত বাঙালিনীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন : কিছু প্রশ্ন
অতীশ পাল

Related Posts

July 29, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

5 Mins Read
July 27, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

4 Mins Read
July 25, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

4 Mins Read
July 23, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

5 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

July 29, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

July 27, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

July 25, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

July 23, 2025

পাথরের গায়ে নিঃশব্দ ভাষায় লেখা ইতিহাস

July 21, 2025

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট

July 19, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?