কলকাতা ব্যুরো: সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা। শুক্রবার টানা সাত ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, দিল্লির জল্লাদদের কাছে মাথা নত করবেন না।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আগে ২ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির জেরার সম্মুখীন হয়েছি। আমি আমার কথামতো তদন্তে সহযোগিতা করেছি। গত দু’বার দিল্লিতে গিয়েছিলাম। আদালতের নির্দেশে এখন কলকাতায় জেরার মুখোমুখি হয়েছি। প্রথমত এটাই আমার নৈতিক জয়। আমার স্ত্রীকে ২ বার সিবিআই, একবার ইডি ডেকেছিল। দু’জনে মোট ৬ বার জেরার মুখোমুখি হয়েছিল। ফলাফল প্রতিবারই শূন্য। লিখিত বয়ান দিয়েছি। বারবার বলছি আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যাঁরা দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে তদন্ত করছেন তাঁদের কাউকে দোষারোপ করছি না। যাঁরা ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিল তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছে না বলে বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি এদিন অমিত শাহের নাম না করে অভিষেকের তোপ, কেউ যদি বলে কারও ছেলেকে আমি আক্রমণ করেছি বলে সিবিআই, ইডি’র জুজু দেখানো হচ্ছে। দিল্লিতে বসে থাকা জল্লাদদের কাছে মাথানত করব না। সারা ভারতের লোককে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম শেখাচ্ছেন। গরিব মানুষদের হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলছেন। আগে নিজের ছেলেকে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ শেখান। তারপর অন্যকে শেখাবেন।উপনির্বাচনগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছেন। আপনি রাজনৈতিকভাবে লড়ুন। আপনারা কী ভাবছেন, সিবিআই, ইডি দিয়ে তৃণমূলকে ধমকে চমকে চুপ করিয়ে রাখবেন? কিন্তু সেটা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার অভিষেককে নতুন করে ইডির সমন পাঠানোর কথা প্রকাশ্যে আসে। সেই সমন অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় তথ্যের খোঁজে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। প্রথম দফায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। দুপুরে খাবারদাবার খাওয়ার জন্য তাঁকে বিরতি দেওয়া হয়। তারপর ফের দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেননি অভিষেক। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব ‘জানা নেই’ বলেই জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর সন্ধে ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বেরোন তিনি।