মৈনাক শর্মা

ভোটে আগে বা পরে হিংস্রতার ঘটনা নতুন ব্যাপার নয় পশ্চিমবঙ্গে । তবে একুশের নির্বাচনে এই হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে , যার ফলে প্রাণ হারায় জগদ্দল এলাকার শোভারনি মন্ডল সহ্য একাধিক বিরোধী দলের কর্মীর । বিরোধী দল বিজেপির জারী করা তালিকায় এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারায় ১০ কর্মী। আর সেই হিংসা ও প্রতিহিংসা কে রুখতে বাংলায় স্টেট ইমার্জেন্সী জারীর জন্য মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এর আগেও বাংলায় হিংসার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি করে সুুপ্রি কোর্টের দ্বারস্থ হন সিনিয়র বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। কবল মাত্র হত্যা ই নয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লুট পাটের অভিযোগ করে বিজেপি।

বর্তমান শাসক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলায় ব্যাপক হিংস্রতার জেরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে তামিনাড়ুর সংস্থা ইন্ডিক কালেকটিভ ট্রাস্ট। তাছাড়া বাংলায় শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি করে ওই সংস্থা।

কোন ক্ষেত্রে জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন ?

ভারতীয় সংবিধানে র ৩৫৬ নং অনু্ছেদ অনুযায়ী তিনটি ক্ষেত্রে জারি হতে পারে রাজ্য জরুরি অবস্থা বা রাষ্ট্রপতি শাসন।

প্রথমত যদি রাজ্যের শাসক দল সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করলে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতিকে জরুরী অবস্থা জারির পরামর্শ দিতে পারে। সেক্ষেত্রেও শাসক দল দ্বারস্থ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের।

দ্বিতীয়ত যদি রাজ্যের নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন না করলে অথবা রাজ্যের বিধান সভায় বিরোধী পক্ষের ডাকা অনাস্থা প্রস্তাব অনুযায়ী সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন না করলে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে।

আবার রাজ্যের কোনো হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করলে বা রাজ্যে সসস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলেও জারী হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন।

অর্থাৎ ৩৫৬ র অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুটি কারণে পশ্চিমবঙ্গে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। যদিও রাজভবনে শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের লও অ্যান্ড অর্ডার ফিরিয়ে আনতে মুখ্য সচিব ও সরাষ্ট্র সচিবকে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রং দেখে নয়, প্রয়োজনে সবাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে মাননীয়া।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version