Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»বাঁকুড়াপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ
এক নজরে

বাঁকুড়াপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ

সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়By সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়May 8, 2023No Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

বাঁকুড়ার সঙ্গে আশৈশব প্রেম ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের । জীবনস্মৃতি পড়লেই পাওয়া যায় সেই সব অমলিন স্মৃতিকথা।তিনি লিখেছেন-“যদুভট্টের গান শুনে ছেলেবেলায় আমার ঘুম ভাঙতো। দাদাদের গান শেখাবার জন্য বাবামশায় যদুভট্টকে ঠাকুর বাড়িতে নিয়ে এনেছিলেন।”শুধু যদুনাথ ভট্টাচার্যই নন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনে বাঁকুড়ার বহু গুণী সন্তান আপন প্রতিভা বলে গৌরবময় জায়গা করে নিয়েছিলেন। মেলবন্ধন ঘটেছিল শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঘরানার।

তাঁর কবিমানসে পল্লী বাঁকুড়ার প্রতি যে শ্রদ্ধা ও সমীহ জেগেছিল তার প্রমান পাওয়া গিয়েছিল একেবারে পরিনত বয়সে। মহাপ্রয়ানের ঠিক একবছর ক’মাস আগে অশক্ত শরীর নিয়ে তিন দিনের জন্য বাঁকুড়ায় এসেছিলেন। বাঁকুড়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর উদ্যোগে তিনি সাড়া দিয়েছিলেন অবিশ্বাস্যভাবে। এখানে এসে পরম মমতায় পল্লী প্রেমের কথা শুনিয়েছিলেন। এখানকার শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে মূল্যবান মতামত জ্ঞাপন করেছেন। আবার গভীর প্রেমে অপ্রেমে ডুবে থাকা চৈতন্য লোকের আরও সুগভীর সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো ঝরে পড়ে তাঁরই অভিভাষণে। একদিকে শ্রদ্ধা মিশ্রিত আবেগ আর অন্যদিকে পল্লী প্রকৃতিকে আরও জানার-চেনার তীব্র সখেদ বাসনার সুরটিকে খুঁজে পাই তাঁরই চেতনার রবিচ্ছটায়। আরও দ্যোতনাময় সুর ধরা পড়ে তাঁরই লেখা চিঠি থেকে। বিখ্যাত কবি ও রবীন্দ্র গবেষক টমসন সাহেবের উদ্দেশ্যে লিখছেন-“কল্যাণীয়েষু টমসন সাহেব বিরক্ত হইতে পারেন, সেজন্য আমি দুঃখিত আছি। কিন্তু তোমরা তো আমাকে জান তোমরা কি জন্য আমাকে অনাবশ্যক টানাটানি করিবার ইচ্ছা করিতেছ? আমার যে বয়স ও যে অবস্থা এখন, আমার শক্তি সাবধানে ব্যায় করা দরকার। হাতে যে কাজ পড়িয়াছে তার অতিরিক্ত কিছু করিতে গেলে সেই কাজের ক্ষতি হয়, কেননা আমার শরীরের সামর্থ এখন পরিমিত …। “(রবীন্দ্রনাথ, ১৩মাঘ,১৩২২ সন)

কবিগুরুর বাঁকুড়ায় আসা নিয়ে শুরু হয়েছিল নানান জটিলতা ও টানাপোড়েন। বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ও কবি এডোয়ার্ড টমসনের একান্ত বাসনা কবিগুরু একবার অন্তত বাঁকুড়া ঘুরে যান। তখনকার ওয়েশলিয়ান কলেজের নামী অধ্যাপক টমসন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেছেন।  তাঁরই ছাত্রের মাধ্যমে এই যোগসূত্র স্থাপন করেছিলেন। ১৯১৬ খ্রি বাঁকুড়া মিশনারি কলেজের ছাত্র মনোরঞ্জন চৌধুরী এই সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। গুরুদেব বাংলা ১৩২২ সনের ১১ মাঘের পর এখানে এলে খুবই ভালো হয় বলে বার্তা পাঠালেন মনোরঞ্জন এর মারফত। প্রসঙ্গত বাঁকুড়ার ছেলে মনোরঞ্জন শান্তিনিকেতনের ব্রম্হচর্য বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। রবীন্দ্রসান্নিধ্য লাভ করেছিলেন সেই সূত্রে। ১০ মাঘ কবিগুরু শ্রীমান মনোরঞ্জনকে লিখলেন- “বাঁকুড়ায় যাইব স্থির ছিল, কিন্তু পতিসরে আমি যে পল্লির কাজ ফাঁদিয়াছি, সেখানে কাজের গোলমাল বাধিয়াছে। শিঘ্রই না গেলে মুস্কিলে পড়িতে হইবে।…দেরি যথেষ্ট হইয়াছে,আর করা চলিবে না। এই জন্যই বেনারস, বাঁকুড়া দুই জায়গারই আহ্বান ফিরাইতে হইল।”তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ কাল। তিনিও তাঁর সাধনায় ডুবে গেলেন। গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন গ্ৰামোন্নয়ন  ও পল্লী পুনর্গঠনের কাজে। পরবর্তী কালে একেবারে জীবন সায়াহ্নে এসে সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁকুড়ায় আসার।

নানারকম বাধাবিপত্তি সরিয়ে কর্মব্যাস্ততাময় জীবন থেকে খানিক সময় বাঁচিয়ে অবশেষে বাঁকুড়ায় আসার জন্য মনস্থির করেই ফেললেন তিনি ।

১৯৪০ সালের ১ মার্চ বোলপুর থেকে খানা জংশন হয়ে রানীগঞ্জ এলেন। বল্লভপুর দামোদর ঘাট পেরিয়ে কবিগুরু মোটরগাড়ি চড়ে মেজিয়া থেকে অমরকানন হয়ে এলেন বাঁকুড়ার হিল হাউসে। কবিগুরুর ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে অন্যতম বিশেষ সুহৃদ জেলার ভূমিপুত্র রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সফরসঙ্গী হিসেবে। সে সময় বাঁকুড়ার জেলা শাসক ছিলেন সুধাংশু কুমার হালদার। তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী ঊষারানী হালদার ছিলেন সমাজ সংগঠক ও সারা ভারত মহিলা সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা শাখার সভানেত্রী। আরও বড় পরিচয় হল গুরুদেবের বন্ধুর মেয়ে এই ঊষারানী। বিশেষ স্নেহের পাত্রী ছিলেন তিনি। প্রধানত তাঁদেরই উদ্যোগে বাঁকুড়ায় গড়ে উঠেছিল মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গল ভবন। সেই ভবনের শুভ উদ্বোধন করবেন গুরুদেব। তাঁর এই চিরস্মরণীয় বাঁকুড়া সফর উপলক্ষ্যে মহাধূমধাম সহকারে নাগরিক সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পরমকাঙ্খিত অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন বিশ্ববরেণ্য রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়।

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বাঁকুড়ায় এসে তিনটি দিন কাটিয়ে যান জেলার আপামর মানুষের শ্রদ্ধায় ভালোবাসায়। এখানকার সারস্বত সমাজ ও বিশিষ্ট গুণীজনদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে যান তিনি। শহরের বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। মাতৃসদন এর উদ্বোধন ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি হিল হাউসে অবস্থান কালে অপার মুগ্ধতায় বলেছিলেন-“এই তো একটা জায়গায় এলুম বাঁকুড়ায়। প্রাদেশিক শহর বটে কিন্তু পল্লীগ্ৰামের চেহারা এর। পল্লী গ্ৰামের আকর্ষন রয়েছে এর মধ্যে। সাবেক দিন যদি থাকতো তো এরই আঙিনায় ঘুরে বেড়াতে পারতুম। এদেশের এক নূতন দৃশ্য শুষ্ক নদী বর্ষায় ভরে উঠে অন্য সময় থাকে বালিতে ভরা। রাস্তার দুই ধারে শালের ছায়াময় বন পেরিয়ে এলুম মোটরে পল্লীশ্রীর ভিতর দিয়ে দেখতে পাইনি বিশেষ কিছুই। এমন তরো  দেখা এড়িয়ে যাবার উপায় তো আর নেই…।”বাঁকুড়ার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা সম্ভ্রম বোধ ধরা পড়ে তাঁরই বয়ানে- “তোমাদের অভিনন্দনকে আজ আমি গ্ৰহন করি, আপাতত এ জমা থাক্ গচ্ছিত সম্পত্তির মতো, কালের বড়ো অভিনন্দন সভায় এর যাচাই হবে, তখন তোমাদের এই বাঁকুড়াতেই চন্ডীদাসের পাশে কি আসন পাব- এই প্রশ্ন নিয়ে বিদায়  গ্ৰহন করি।”

সেদিনের নাগরিক সভায় কবিগুরু বাঁকুড়া বিষয়ক মৃল্যবান অভিভাষণের পর সম্মিলিত অনুরোধে- “বিনুর বয়স তেইশ তখন “(ফাঁকি) কবিতাটি আবেগ মেশানো দৃপ্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করে বাঁকুড়ার মাটিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে গেলেন বৈদিক পুরুষ সূক্তের এক দ্রষ্টা- রবীন্দ্রনাথ।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleপুড়ে ছাই হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের বানানো সিনেমা
Next Article লেখকের কল্পনা যখন বাস্তবে ঘটে
সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

Related Posts

July 31, 2025

প্ল্যাস্টিক খেকো ছত্রাক কি সমুদ্র দূষণমুক্ত করতে সহায়ক হবে

3 Mins Read
July 29, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

5 Mins Read
July 27, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

4 Mins Read
July 25, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

4 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

প্ল্যাস্টিক খেকো ছত্রাক কি সমুদ্র দূষণমুক্ত করতে সহায়ক হবে

July 31, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

July 29, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

July 27, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

July 25, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

July 23, 2025

পাথরের গায়ে নিঃশব্দ ভাষায় লেখা ইতিহাস

July 21, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?