কলকাতা ব্যুরো: কোথাও জয় শ্রীরাম নাড়া উঠলো, কোথাও দল বেঁধে চলল রাম পুজো, কোথাওবা রাস্তার উপরেই রামভক্তরা টুকটাক ফাটালো বাজি।
লকডাউন ও বৃষ্টির আবহে ব্যাপারটা শেষ হলো সে ভাবেই। ভক্তকুলও নিজেদের সংযত রেখেই রামনাম সারলেন–প্রায় সর্বত্রই দূর থেকে দেখেও দেখলো না পুলিশ। কোথাও আড়চোখে নজর থাকলো। তাতে দিনের শেষে শহরে সবই মিটলো বাড়তি বাড়াবাড়ি ছাড়াই। শহর কলকাতায় পুলিশের এমন কূটনৈতিক স্ট্যান্ড তৃণমূল রাজত্বে, রামভক্তদের বাড়তি প্রচার পাওয়ার রাস্তা কেটেছে।


আবার সেই পুলিশি কলকাতার বাইরে একেবারে অন্য মেজাজে। দিলীপ ঘোষের খাসতালুক বলে পরিচিত খড়গপুরে রামমন্দিরে ভিড় করায় সেখানে হুলস্থুল পড়লো। যত না রামবাহিনী, তার থেকে বেশি পুলিশবাহিনী রে রে করে তেড়ে ঢুকে পড়লো মন্দিরে। টেনে হিঁচড়ে বের করা হলো রামসেবকদের। চললো লাঠিপেটা। সব সাময়িক ফাঁকা করে বীর বিক্রমে ফিরলো পুলিশ। সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সারাদিন নিউ টাউনের বাড়িতে শাঁখে ফুঁ দিলেন আর রাম পুজোয় মগ্ন থাকলেন। কিন্তু তাতেও খড়্গপুরে রাম মন্দিরের ঘটনা চর্চায় চলে এলো। প্রায় একই ছবি মহিষাদলে। সেখানেও রাম ভক্তদের ভিড় সরাতে বল প্রয়োগ করে আমজনতার নজর টানার সুযোগ করে দিলো পুলিশই।


এমনিতেই সারাদিন দেশের যাবতীয় মিডিয়ার ক্যামেরার ফোকাস ছিল অযোধ্যায়। ব্যাতিক্রম নয় এ রাজ্যও। কিন্তু শিলাপোতা আর ভাষণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি মঞ্চ থেকে নামতেই এ রাজ্যের টিভিতে ফুটেজ খেয়ে নিল এই সব ঘটনা। শিলিগুড়িতেও লকডাউনের আইন শেখাতে গিয়ে রামপুজো যে হচ্ছিল পুলিশের মারমূখী মেজাজেই সে খবর পেয়ে গেলো গোটা পাড়া। বীরভূমের সিউড়িতেও একই ছবি দেখলো জনতা। বর্ষীয়ান এক পুলিশ অফিসার বলেন, কখনও কখনও আইন ভাঙা হচ্ছে দেখলেও যতক্ষন না তা বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে, ততক্ষণ তাকে নজরে রেখে যেতে হয়। লকডাউনের সঙ্গে বৃষ্টিতে এমনিতে লোকজন রাস্তায় প্রায় নেই। ফলে কোথাও পাবলিক বা ট্রাফিকের সমস্যা হচ্ছে না। তাই চুপ থেকে দূরে দাঁড়িয়ে শুধু নজর রাখলে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে বাড়তি প্রচারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version