কলকাতা ব্যুরো: বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পাপাই রাহা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অরূপকুমার পালকে ২,১১৮ ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। যদিও আজকের এই গণনায় অংশগ্রহণ করেননি বিরোধী তিন দলের কোনও প্রতিনিধি। বিরোধীরা অভিযোগ শাসকদল ২১ অগাস্ট সকাল থেকে ভোট লুট করেছে, তাই তারা গণনায় অংশগ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ। তবে তৃণমূলের দাবি, হেরে যাবে জেনে গণনায় অংশগ্রহণ করেনি বিজেপি।
গত রবিবার বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধী তিন দল সিপিআইএম, বিজেপি ও জাতীয় কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিলেন ভোট লুটের। তারা অভিযোগ করেছিল, তাদের কর্মী সমার্থক ও বুথ এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে তৃণমূল। এই অভিযোগে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিরোধীরা। ভোট শেষে তৃণমূল দাবি করেছিল শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে এবং তারা ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবেন। তাদের প্রত্যাশামতো গণনা শেষে দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা ২,৮৪২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অরূপকুমার পালকে ২,১১৮ ভোটে পরাজিত করেছেন।
উপর্নিবাচনে বিজেপি প্রার্থী অরূপকুমার পাল ৭২৪ ভোট, সিপিআইএম প্রার্থী ধৃতিমান পাল ৩৩২ ভোট ও জাতীয় কংগ্রেস প্রভাস পাল ৫২ ভোট পেয়েছেন। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা গণনা কেন্দ্রের বাইরে ব্যান্ড বাজিয়ে সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এ দিনের এই জয় নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা বলেন, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আমাদের ভোট বেড়েছে। আগামীদিনে ওয়ার্ডের উন্নয়ন করাই আমার লক্ষ্য।
গণনায় অংশগ্রহণ না করা নিয়ে বিজেপির বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, পুরসভার উপনির্বাচনে কোনও ভোটই হয়নি। আমি বিধায়ক হয়েও ভোট দিতে পারিনি। আমার পরিবার ভোট দিতে পারেনি। তাঁর দাবি, যেখানে ভোট হয়নি সেখানে গণনায় অংশগ্রহণ করার কোনও মানেই হয় না। ভোট গণনায় অংশগ্রহণ করব না সেটা প্রশাসনকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version