কলকাতা ব্যুরো: পুরভোটের আগে ত্রিপুরাজুড়ে ক্রমশ হিংসা বেড়েই চলেছে। বুধবার রাতে ফের তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আগরতলায় ত্রিপুরা পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত আছেন সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবল ভৌমিকরা।

তৃণমূলের অভিযোগ, বুধবার রাতে আগরতলা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্পণা বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বিজেপি আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা বাড়ির সদস্যদের মারধর, অগ্নিসংযোগ এবং বাড়িতে তালা বন্ধ করে রাখার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অপর্ণা বিশ্বাসের ছেলে। পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর করারও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল রীতিমতো আক্রমণাত্মক। তাঁদের অভিযোগ, পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় সন্ত্রাস চরম আকারে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে লড়াই থেকে সরানো যাবে না।

অপর্ণা বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা এবং ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আগরতলায় ধরনায় বসে পড়েছে ত্রিপুরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি চলছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, বারবার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করার জন্যে চাপ দিচ্ছিল বিজেপি। আমরাই একমাত্র দল যারা আগরতলার ৫১ ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পেরেছি। এখন যাতে প্রচার করতে না পারি, তাই প্রতিদিন ভয় দেখানো হচ্ছে ৷

সুস্মিতা দেব জানান, ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। তাতে ভীত বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করছে৷ সব জেনে শুনেও প্রশাসন নীরব। কোনও অভিযোগ গ্রহণ করছে না। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে লড়াই থেকে সরানো যাবে না। আমরা মানুষের সমর্থন নিয়ে আন্দোলন করে যাব।

একই সুর শোনা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, এত ভয় কিসের? যদি সত্যিকারের মানুষের উপর আস্থা থাকে তাহলে এই অত্যাচার, সন্ত্রাস করার প্রয়োজন কী? এই ধরনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি ত্রিপুরার জন্য “কালো অধ্যায়”।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন ত্রিপুরায় অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শাসক দল সবকটা সিটে পরাজিত হবে। তাই তারা ভয় পেয়ে এসব করছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version