কলকাতা ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেই ইস্যুতেই এবার রাজভবনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল প্রতিনিধিদল (TMC DelegatesTeam)। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজভবনে (Raj Bhawan) যান শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাজদা আহমেদ, মালা রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৭ জন। রাজ্যপালের কাছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছেন প্রতিনিধিরা। এদিন ঘণ্টাখানেক রাজভবনে আলোচনা করেন তাঁরা। বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কুণাল ঘোষরা।

বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমরা মর্মাহত। বিজেপির একজন সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন, তার প্রতিকার দরকার। আমরা তাঁকে দেখেছি বিভিন্ন বিষয়ে টুইট করতে। আমরা বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমান নিয়ে যেন তিনি প্রকাশ্যে মতামত পোষণ করেন। যেভাবে বাবা-মা টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন। আমরা তাঁর কঠিন শাস্তি দাবি করছি। নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। বিগত দিনে মা দুর্গাকে নিয়ে বলেছিলেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বলেছেন। আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।

অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অ্যাটাক করা হয়েছে, বাবা-মা তুলে কথা বলা হয়েছে। তিনি সব বিষয়ে টুইট করেন। এটাও দেখুন। আমরা কী আশা করব? রাজ্যপালের কথায় তো বিজেপির কথার প্রতিফলন। ওনার বিজেপির পৃষ্ঠপোষকতা করা। কিন্তু আমরা দেখব। বল ওনার কোর্টে। আমরা দেখব উনি কী করেন। উনি কিছু বলেছেন, আমরাও কিছু বলেছি। আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে রাজনৈতিকভাবে তাঁর কাছে এসেছি। এবার উনি বিবেকের ডাকে সাড়া দেবেন, কী করবেন, সেটা দেখার।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজভবনের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে তৎপর শাসকদল। এর আগেও সিবিআইয়ের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রতিনিধিদল (TMC DelegatesTeam)। এবার থেকে প্রয়োজন মনে করলেই সুবিচার চাইতে রাজভবনে যেতে পারেন শাসকদলের নেতৃত্ব।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version