কলকাতা ব্যুরো: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মিলিয়েই যেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘে ঢাকল রাজ্যের আকাশ। একই সঙ্গে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে টর্নেডো উৎপত্তি হয় এদিন দুপুরে। সেখানে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছিল, ৯ থেকে ১৩ মে নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে রাজ্যে। বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে। আবহাওয়া দপ্তরের সর্তকতা, ১১ মে সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। কারণ কোটাল এর সঙ্গেই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্র বা নদীতে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


একইসঙ্গে রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নয়া সমস্যা বজ্রপাত আবহাওয়া দপ্তর আজকের পূর্বাভাসে বজ্রপাতের আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রেখেছে। ফলে গত সোমবার একই দিনে বজ্রপাতে রাজ্যে ২৭ জনের মৃত্যুর পর, এখন বজ্রপাতে মৃত্যু থেকে মানুষকে বাঁচাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে সরকারের তরফে।
গ্রামেগঞ্জে মানুষের মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে এবং টিভি ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বজ্রপাত থেকে দূরে থাকতে কি করনীয় তা জানানো হচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বৃষ্টিপাতের যে সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে, তাতে —–
বৃহস্পতিবার ১০ জুন — দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
১১ জুন – ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলির কিছু অংশ।
১২ জুন ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, নদীয়া দুই পরগনা, ঝারগ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়।
১৩ জুন – ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝারগ্রামে।
এছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ১০ থেকে ১১ জুন ঝোড়ো হাওয়া ও ঘন ঘন বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এরই সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিংপং, মালদা, দুই দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version