কলকাতা ব্যুরো: পুর নির্বাচনের আগে আদালতের রায়ে জোর ধাক্কা খেল বিপ্লব দেব প্রশাসন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুর নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সব প্রার্থীকেই নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কোনও প্রার্থী যাতে প্রচারে বাধা না পায় সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। ত্রিপুরাতে পুর নির্বাচনের মুখে বারবার দলের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এই মর্মে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে আদালত।

পাশাপাশি অবিলম্বে ত্রিপুরা সরকারের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজিকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরা প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তাকে আদালতে হলফনামা পেশ করতে বলা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আদালতে রায়ের পরও যদি কোনও প্রার্থীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় অথবা ভোটের প্রচারে কোন প্রার্থী বাধাপ্রাপ্ত হলে মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির উপরই দায় বর্তাবে।

পুরসভা নির্বাচনের আগে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বারবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে এই অভিযোগে সব থেকে বেশি সরব হয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিজেপির অভিযোগের সঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূলের করা অভিযোগের সাদৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।

সুপ্রিম কোর্টে বিপ্লব প্রশাসনের এই ধাক্কার মধ্যে নিজেদেরই জয় দেখছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর, দলকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ত্রিপুরাকেই পাখির চোখ করেন মমতা-অভিষেক। সেই মতো ত্রিপুরার রাজনৈতিক জমি উর্বর করার লক্ষ্যে নেমে পড়ে তৃণমূল। এরপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে মামলাকারী তথা তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, এতদিন আমরা বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছিলাম, কিন্তু কোনও লাভের লাভ হচ্ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দরকার ছিল। পুলিশকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। এতদিন এফআইআর করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিত না। আশা করি এবার কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। এই রায়ে শুধু তৃণমূলেরই নয় সব বিরোধী দলেরই লাভ হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version