কলকাতা ব্যুরো: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক সলমন রুশদির উপরে হামলার জন্য দায়ী তিনি নিজেই, এই কথা জানিয়ে বিবৃতি দিল ইরানের বিদেশমন্ত্রক। রুশদির সমর্থকদের উস্কানিতেই লেখকের উপরে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে আততায়ী, এমনটাই বলা হয়েছে ইরানের তরফে।

তবে হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলেই জানিয়েছে সেদেশের সরকার। গত ১২ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন ছুরিবিদ্ধ হয়েছিলেন রুশদি।

সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাসির কানানি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেই কোনও ধর্মকে অসম্মান করার অধিকার পাওয়া যায় না। আরও বলা হয়েছে, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটির মাধ্যমে অন্তত দেড়শো কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন রুশদি। আমরা মনে করি, হামলার মূল কারণ রুশদি নিজেই। তাছাড়া রুশদির সমর্থকদের আচরণও অত্যন্ত নিন্দাজনক

রুশদির উপরে হামলা চালানোর জন্য অনেকেই ইরানকে দায়ী করেছে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কানানি বলেছেন, হামলা সংক্রান্ত কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। তাই অকারণে আমাদের দায়ী করার অধিকার নেই কারওর।” ১৯৮৮ সালে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পরে রুশদির উপরে ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের শাসক আয়াতোল্লা খোমেইনি। লেখকের মাথার দাম তিরিশ লক্ষ ডলার ধার্য করে দেওয়া হয় ইরানের তরফে। রুশদির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আঘাত করেছেন তিনি।

গত শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে আততায়ীর হামলার কবলে পড়েন সলমন রুশদি। নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে পৌঁছনোর কথা ছিল রুশদির। কিন্তু মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে ওই ব্যক্তি। তাঁকে কিল-চড়ও মারে হামলাকারী। এদিকে, সম্বিত ফিরে পেয়েই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রথমে ভেন্টিলেশনে থাকলেও আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন রুশদি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version