Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»#SpecialReport : বার বার নিষেধের খড়্গ নেমেছে নজরুলের গ্রন্থে
এক নজরে

#SpecialReport : বার বার নিষেধের খড়্গ নেমেছে নজরুলের গ্রন্থে

তপন মল্লিক চৌধুরী By তপন মল্লিক চৌধুরী May 25, 2022Updated:May 25, 20222 Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp
তাঁর সাংবাদিকতা,সাহিত্য ও সঙ্গীত সাধনা শুরু হয়েছিল পরাধীন দেশে। শুরু থেকেই তাঁর ব্যঙ্গ,বিদ্রুপ ও জ্বালাময়ী লেখার লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসন ও শোষণ।যে কারণে নজরুলেরএকের পর একগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়, তিনি গ্রেফতার হন, তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় এবং কারাবাস করেন। জেলেও তিনি জুলুমের প্রতিবাদে অনশন করেন। তাছাড়াও সাংবাদিক এবং লেখক নজরুলের পিছনে গোয়েন্দা লেগেই থাকতো।

১৯২০ সালে নজরুল তাঁর সৈনিক জীবন শেষ করে কলকতায় আসেন। তখন তিনি ২১ বছরের দুর্দমনীয় এক তরুণ। শেরে বাংলা ফজলুল হকের প্রযোজনায় বন্ধু মুজফফর আহমদের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় নজরুল ‘নবযুগ’ নামে একটি সান্ধ্য দৈনিক শুরু করেন।কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মূলত নজরুলের লেখার জন্য ‘নবযুগ’ রাজরোষে পড়ে। ব্রিটিশ সরকার বেশ কয়েকবার সতর্ক করলেও তিনি কলম বন্ধ করেননি। যদিও সাত মাস পর নজরুল নবযুগ ছেড়ে দেন। যোগ দেন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধুমকেতু’তে; সম্পাদক হিসাবে।

একদিন ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা অফিসে তুমুল আড্ডা চলছে। হঠাৎ দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে একসঙ্গে অনেক জুতার শব্দে আড্ডা ভাঙল। নজরুল কলকাতায় ছিলেন না, সমস্তিপুরে গিয়েছিলেন। মুজাফফর আহমেদ বুঝলেন, পুলিশ এসেছে ‘ধূমকেতু’র অফিসে তল্লাসী ও নজরুলের নামে গ্রেফতারের পরওয়ানা নিয়ে। পুলিশ যে সরকারি নোটিশ দেখায় তাতে উল্লেখ ছিল, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ ‘ধূমকেতু’তে প্রকাশিত নজরুলের লেখা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ শীর্ষক কবিতা ও অন্য এক লেখকের ‘বিদ্রোহীর কৈফিয়ৎ’ শীর্ষক একটি ছোট লেখা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কলকাতায় ফিরে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লেখার অপরাধে নজরুল গ্রেফতার হন, জেল খাটেন।

ইতিমধ্যে নবযুগে প্রকাশিত সম্পাদকীয় এবং প্রবন্ধ নিয়ে নজরুল ‘যুগবাণী’নামে প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশ করেন। ব্রিটিশ শাসকরা নজরুলের এই ‘ঔদ্ধত্য’ বা ‘সাহস’ মেনে নিতে পারেনি।নজরুলের প্রথম গ্রন্থ ‘যুগবাণী’ ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারানুযায়ী বাজেয়াপ্ত হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ‘যুগবাণী’কে একটি ভয়ংকর বই হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, লেখক বইটির মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করছেন।‘যুগবাণী ছাড়াও নজরুলের আরও দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘দুর্দিনের যাত্রী’(১৯২৬) এবং ‘রুদ্রমঙ্গল’(১৯২৬)বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সরকার এই সব গ্রন্থেখুঁজে পেয়েছিলরাজদ্রোহীতা আর বাংলার মানুষ পেয়েছিল স্বাধীনতার প্রেরণা। ১৯২৪ সালে প্রকাশিত নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ‘বিষের বাঁশী’। এর পর পরই নিষিদ্ধ হয় ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থ। বেঙ্গল লাইব্রেরীর লাইব্রেরীয়ান অক্ষয় কুমার দত্তগুপ্ত ‘বিষের বাঁশী’ গ্রন্থটি প্রথম পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নজরে আনেন। এরপর পুলিশ কমিশনার ‘টেগার্ট’ চীফ সেক্রেটারির কাছে ‘বিষের বাঁশী’সম্পর্কে জানান, “The writer is convicted last year under section 124/A and 153\a I.P.C and sentenced to one year’s R. I. in the dhumketu sedition case. The contents of the Book as would appear in the exacts of translation are dangerously objectionable and I recommend the immediate proscription of the same.” এরপরই চিফ সেক্রেটারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন- ‘বিষের বাঁশী’ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তাই সরকারি দন্ডবিধি ১২৪ এ ধারা অনুসারে বইটি বাজেয়াপ্ত করা হল। এই ঘোষণার পর ব্যাপক খানাতল্লাশি শুরু হয়। কল্লোল অফিস সার্চ হয়। কাল্লোলে ‘বিষের বাঁশী’র অনেক কবিতাছাপা হয়েছিল। যদিও‘বিষের বাঁশীর’ গোপনে বিক্রি ও বিপ্লবীদের হাতে হাতে ফিরতে থাকে। ‘বিষের বাঁশী’ পরপরই বাজেয়াপ্ত করা হয় নজরুলের একই সময় প্রকাশিত আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘ভাঙ্গার গান’।

গত শতাব্দীর তিনের দশকের গোড়ায় ব্রিটিশ সরকারের রোষের কোপে পড়ে নজরুলের আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘প্রলয় শিখা’। কবির মানসিক অবস্থা তখন খুবই দুঃখজনক। সদ্য মারা গিয়েছে তাঁর প্রিয় পুত্র বুলবুল। ‘প্রলয় শিখা’র প্রতিটি কবিতায় ঝড়ে পড়েছিল কবির চোখের জল আর বুকের আগুন। সেই আগুনের ফুলকি বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর রায়বাহাদুর তারকনাথ সাধু ‘প্রলয় শিখা’ সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনারকে জানান, বইটি ভারতীয় পেনাল কোডের ১৫৩ এ ও ১২৪ এ ধারা ভঙ্গ করেছে। তাই বইটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার।১৯৩১ সালে বাজেয়াপ্ত করা হয় ‘প্রলয় শিখা’।

‘প্রলয় শিখা’র রেশ কাটতে না কাটতে এক মাসের মাথায় নিষেধের খাঁড়া নেমে আসে নজরুলের নজরুলের কাব্যগ্রন্থ ‘চন্দ্রবিন্দু’র ওপর। এই কাব্যগ্রন্থটি মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের কবিতা। এর প্রতি ছত্রেফুটে উঠেছে তৎকালীন সমাজ ও রাজনীতির প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, শ্লেষপূর্ণ হাস্যরস। এটিও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৯(এ) ধারা অনুসারে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও অগ্নিবীণা, ফণিমনসা, সঞ্চিতা, সর্বহারা, রুদ্রমঙ্গল প্রভৃতি বই ব্রিটিশ সরকারের কোপানলে পড়েছিল।

নজরুলই বাংলা সাহিত্যে প্রথম ‘সর্বহারা’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। বলশেভিক আন্দোলনের বিপ্লবী চিন্তাধারার সংস্পর্শে এসে তিনি সর্বহারা মানুষের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠেন। তার ‘সর্বহারা’ কাব্যের ছত্রে ছত্রে বিশ্বের নিপীড়িত, যুগ-যুগান্ত ধরে মেহনতী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে ভাষা দিয়েছিলেন।নিপীড়ক শাসকের শোষণকে তীক্ষ্ণ ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তাই তাঁর ‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থ বাজেয়াপ্তের জন্যও পুলিশ কমিশনার টেগার্ট এবং পাবলিক প্রসিকিউটর তারকনাথ সাধু সুপারিশ করেছিল। গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল “Almost all the poems breath a spirit of revolt.”নজরুলের কণ্ঠ ও কলম থামিয়ে দেওয়ার জন্য শাসক এবং তাদের সহযোগীরা সব রকম প্রচেষ্টাই চালায়। কিন্তু নজরুলকে জেলে আটকে রাখাও সম্ভব হয়নি। গণবিক্ষোভে তাকে মুক্তি দিতে হয়েছে। বই বাজেয়াপ্ত করায় নজরুলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Article#SpecialReport : সাধদ্বিশতবর্ষে রামমোহন
Next Article #kapilsibal: কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন কপিল সিব্বল
তপন মল্লিক চৌধুরী

Related Posts

June 14, 2025

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

3 Mins Read
June 13, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

3 Mins Read
June 10, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

4 Mins Read
June 8, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

4 Mins Read
View 2 Comments

2 Comments

  1. pinaki biswas on May 26, 2022 11:01 am

    নজরুল রচিত একটি গান ‘তিমির বিদারী, অলখ বিহারী, কৃষ্ণ মুরারী আগত ঐ’ — এই গানটি নাট্যকার মন্মথ রায় বিরচিত ‘ কারাগার’ নাটকের জন্য লিখেছিলেন। নাটকটি নয়, গানটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, এবং খুব সম্ভবত নজরুল এ গান রচনার জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন।
    সবচেয়ে মজার বিষয় যে আইন মেনে এই সিদ্ধান্ত তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার নিয়েছিল, সেই আইন আজকেও বহাল আছে।

    Reply
  2. Nipa Chakraborty on May 26, 2022 6:01 pm

    সেকি? এমনও হয়?

    Reply
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

June 14, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

June 13, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

June 10, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

June 8, 2025

লক্ষ লক্ষ গাছ লাগালেই কি পরিবেশ রক্ষা পাবে?  

June 5, 2025

ইলিয়ারাজাঃ সঙ্গীত, সমাজ, রাজনীতি এবং

June 3, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?