কলকাতা ব্যুরো: এ বছর আশ্বিন মলমাস পড়ায় মহালয়ার এক মাস পর কার্তিকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপুজো। তাই এবছর বাঙালিরা সেভাবে মহালয়াটা উপলব্ধি করতে পারলো না। তবে সব প্রতীক্ষার অবসান। আজ থেকে শুরু হচ্ছে নব রাত্রি উদযাপন। অর্থাৎ আজ থেকে শুরু করে নবম দিনে নবমী। দশমীর দিন দশেরা।
নব রাত্রির নয় দিনে দেবী দুর্গা পুজিতা হন তাঁর নয় রূপে। দেখে নেওয়া যাক, দেবীর সেই নয় রূপ এবং তার মাহাত্ম্য। নকিব রাত্রি উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নবদূর্গার প্রথম রূপ শৈলপূত্রী। শৈলপূত্রী পর্বতের কন্যা। মা শৈলপূত্রী মনোবল বৃদ্ধি করেন। দেবীর দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিনী। ব্রহ্মচারিনী মনোসংযোগ বৃদ্ধি করেন। দেবীর তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘন্টা। দেবীর মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্র দেবীকে ঘন্টা দান করেন । এই ঘন্টার মধ্যে ইন্দ্রের বাহন গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল। মা চন্দ্রঘন্টা সাংসারিক সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। দেবীর চতুর্থ রূপ কুষ্মন্ডা। দুর্বিষহ তৃতাপ হলো কুষ্মা। যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে ধারণ করেন অর্থাৎ সমগ্র সংসার ভক্ষণ করেন তিনিই কুষ্মন্ডা। এই রূপে দেবী সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেন। পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। অর্থাৎ দেবসেনাপতি কর্টিকেয়র মা। এই রূপে দেবী সমস্ত রকম অশান্তি নাশ করেন। দেবীর ষষ্ঠ রূপ কাত্যায়নী ।

ব্রজের গোপবালারা মায়ের এই রূপের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণকে পতি রূপে পাবার জন্য। কাত্যায়নী আসলে ব্রজের দূর্গা। মা কাত্যায়নী শত্রু নাশ করেন। দেবীর সপ্তম রূপ কালরাত্রি। ঋগবেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। মহাপ্রলয় কালে এই রাত্রিরুপিনী মাতার কোলে বিলয় হয় বিশ্বের। অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কলভৈরভের দেহ থেকে আবির্ভূতা এই দেবী যোগ নিদ্রা মহাকালিকা বা কালরাত্রি নামে পরিচিত। মা কালরাত্রি অল্প বয়সে কোনো ফাঁড়া থাকলে তা নাশ করেন। অষ্টম রূপে দেবী মহাগৌরী । তিনি সন্তান বৎসোলা। মা দুর্গার প্রসন্ন মূর্তি তিনি। কারো বাড়িতে বিবাহজনিত কোনো সমস্যায় তার ধ্যান করা উচিত বলে পন্ডিতবর্গের মত। নবম রূপে দেবী সিদ্ধিদাত্রী। অপরূপ লাবণ্যময়ী চতুর্ভুজা, ত্রিনয়নী, প্রাতসূর্যের মতো রঞ্জিত যোগমায়া মহেশ্বরি। ইনি সকল কাজে সিদ্ধি প্রদান করেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version