কলকাতা ব্যুরো : প্রায় এক মাস হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে সিন্ধুদূর্গ জেলে নৌকো পাড়ি দিচ্ছে সমুদ্রে। মাছ উঠছেনা। বদলে উঠছে ঝাকে ঝাকে জেলিফিশ। দিনের শেষে তারা জালে দেখতে পাচ্ছেন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই কমলা রঙের জেলিফিশ। সমুদ্রে ঝাকে ঝাকে জেলিফিশ পাওয়াটা একটা কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় সমুদ্রের উত্তাপ বাড়ছে। সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন বেশি জেলিফিশ পাওয়া মানে অন্যান্য মাছের বংশ বৃদ্ধি কমে যাওয়া।

জেলেরা জানাচ্ছেন অন্যান্য মাছ পাওয়া এক রকম। বিক্রি বাড়াতে পারে । জেলিফিশ বিক্রি হবে না। উল্টে জালের ক্ষতি করে দিচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সাইনিফি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ভাইস প্রেসিডেন্ট গণেশ নাখ্ব চিন্তিত ঝাকে ঝাকে জেলিফিশ ওঠায়। জানালেন জেলিফিশ একমাত্র জলের উষ্ণতা বেড়ে গেলেই থাকতে পারে। জেলিফিশ ওঠা সমুদ্র দূষণ এর লক্ষণ। শুধু তাই নয় জেলিফিশ অন্যান্য মাছের মিন ও খেয়ে নেয় এবং অন্যান্য মাছের ডিম তারা শেষ করে দেয়। তাদের দেহের ওজনের তুলনায় ১০ গুণ খাবার জেলিফিশ খেয়ে ফেলতে পারে।

এছাড়াও জেলিফিশ কামড়ে মানুষ অসুস্থ হতে যায়। শুধু এ বছরই জেলিফিশ গত এক দু মাস ধরে জেলেরা ট্রলার পাচ্ছেন তা নয়। এই ঘটনাটি বেশ কয়েক বছরের। এমনই জানালেন স্বপ্নীল তান্দেল মুম্বাইয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানের এক অধ্যাপক। তার কথায় গত পাঁচ দশক ধরে দাহানু অঞ্চলে জেলিফিশ পাওয়া যাচ্ছে। এই জেলিফিশ পাওয়ার প্রধান সময়ে সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version