কলকাতা ব্যুরো: মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন?
না করলে শুরু করুন।
করোনাকালে মাউথওয়াশের বাধ্যতামূলক ব্যবহার হতে পারে নিউ নর্মাল।
কেন জানেন?
টিকা কবে কী করবে, তা এখনও তো স্পষ্ট জানা নেই।
কিন্তু মাউথওয়াশে নিয়মিত কুলকুচি করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
আরে মশাই, ঢপ নয়।
বিশ্বখ্যাত জার্নাল “ইনফেকশাস ডিজিজ”-এ এসম্পর্কে একটি আস্ত গবেষণাপত্রই ছাপা হয়েছে।
জার্মানির রুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী গবেষণাপত্রটি লিখেছেন।
না, না, মাউথওয়াশকে ওঁরা করোনা প্রতিষেধক বলছেন না।
ওঁরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মাউথওয়াশের ভূমিকা নেই।
ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি ঠেকানোও এর কম্মো নয়।
মাউথওয়াশ পারে মুখ ও গলায় কোন করোনা ভাইরাস ঘাঁটি গাড়লে তার প্রভাব (লোড) কমাতে।
এই করোনা ভাইরাসটি তো নাক, মুখ দিয়েও অনেকসময় শরীরে অনুপ্রবেশ করে।
সেই সময়ই তাকে দূর্বল করে দিতে মাউথওয়াশের ভূমিকা খুব কম নয়।
গবেষণায় এটা বুঝতে পেরেছেন ওই জার্মানির বিজ্ঞানীরা।
সেজন্য নিয়মিত কুলকুচি ও গার্গল করতে হবে মাউথওয়াশ দিয়ে।
জার্মানিতে ৮টি ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণায় এই উপলব্ধি হয়েছে বিজ্ঞানীদের।
মাউথওয়াশগুলির তরলে আলাদা আলাদা ভাবে করোনা ভাইরাস যোগ করে সেই মিশ্রণ ৩০ সেকেন্ড ধরে ঝাঁকিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
পরীক্ষর ফল হল, প্রতিটি মিশ্রণে করোনা ভাইরাসের সংখ্যা কমে যাওয়া।
তিনটি মিশ্রণ থেকে তো হাওয়াই হয়ে গিয়েছিল ভাইরাসটি।
তাহলে আর দেরি কেন?
চলুন, সকাল, সন্ধ্যা, মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করি, গার্গল করি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version