কলকাতা ব্যুরো: জিএসটির প্রাপ্য না দেওয়া রাজ্যগুলির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। চার পাতার চিঠি লিখে জিএসটির বকেয়া না-পাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লেখেন, শুধু আমার রাজ্যের কথা ভেবেই নয়, সব রাজ্যের হয়েই একথা আপনাকে বলছি।

চিঠিতে মমতা এনেছেন প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কথাও। তিনি বলেন, গুজরাট সরকার ও জিএসটি চালুর বিরোধিতা করেছিল। অরুণ জেটলি বলেছিলেন, জিএসটি নিয়ে সে সময় বিজেপির বিরোধিতার কারণ ছিল তখনকার কেন্দ্রের শাসক দল রাজ্যগুলিকে তাদের বকেয়া ক্ষতিপূরণ দেবে না। মমতার বলার উদ্দেশ্যj, যে অভিযোগ তারা এনেছিলো সেই কাজ এখন বিজেপি সরকারই করছে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকেও অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিলো এই জিএসটি। ওই বৈঠকেও রাজ্যগুলি এনিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনে। জিএসটি চালুর সময়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, এই ব্যবস্থা চালুর ফলে রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হবে পরবর্তী ৫ বছর সেই ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা। তা না করাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঋণের ভারে জর্জরিত রাজ্যগুলি। অনেকে সরকারি কর্মীদের বেতন, প্রবীণদের পেনশনও সময় মতো দিতে পারছে না। প্রাপ্য টাকা না পেলে তারা চালাবে কি করে?

সময়মতো জিএসটির ক্ষতিপূরণ দিতে না পারার কারণ হিসেবে কেন্দ্রও অবশ্য বলছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তার খারাপ আর্থিক পরিস্থিতির কথাই। কেন্দ্র চাইছে, রাজ্যগুলি ঋণ নিয়ে কাজ চালাক।পরে কেন্দ্র বকেয়া টাকা রাজ্যগুলিকে দিয়ে দেবে। রাজ্যের বক্তব্য, মনিটারি পলিসি ঠিক করার ক্ষমতা কেন্দ্রের আছে, রাজ্যের নেই। রাজ্যগুলির চলবে কি করে ?

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version