কলকাতা ব্যুরো: সোমবার নবান্নে বৈঠকের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই চমকপ্রদভাবে রেলকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছে প্রথমেই পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালানোর। যদিও নবান্নের বৈঠক রেল জানিয়ে দিয়েছিল, প্রথম দিনই ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালু করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। এরপর কালীপুজো মিটলে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ৫ নভেম্বর ফের বৈঠকে।

এদিন সকালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে প্রথম থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রেন চালাতে হবে, না হলে ভিড় সামাল দেওয়া যাবে না। কেননা ট্রেন চালানোর জন্য কোন মতেই কভি ড বিধি অমান্য না করার ব্যাপারে দুপক্ষই অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু রেলের থেকে জানানো হয়েছে, যদি করো না বিধি মানতে হয়, তাহলে প্রতিটি ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে চলতে হবে।

রাজ্যের পরামর্শদাতাদের বক্তব্য, একদিকে ১০ শতাংশ ট্রেন চলবে, অন্যদিকে তাতে আবার ৫০ শতাংশ করে মানুষ উঠতে পারবেন। ফলে বাস্তবে এতে যাত্রীদের কতটা উপকার হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা যেভাবে কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে গোলমাল চলছে, তাতে এভাবে ট্রেন চললে গোলমাল আরো বাড়বে। পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, কোন ট্রেনে যদি ৫০ শতাংশের উপরে যাত্রী ওঠে, তার হিসেব করবে কে? যেহেতু এদেশের লোকাল ট্রেনে দরজা বন্ধ করার কোন সিস্টেম নেই ফলে বাস্তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো অবাস্তব ভাবনা হতে পারে।

আবার রেল যদি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে, সেক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগতভাবে কতটা তা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেননা রেলের যে অ্যাপ সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট এরপর আর তা দেওয়া হবে না, এমন কোন অপশন এখন পর্যন্ত নেই। ফলে এই টিকিট না দেওয়ার বিষয়টা কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাই তারা চাইছেন বাস্তবে যাত্রীদের উপকারের কথা মাথায় রেখে এবং গোলমাল ঠেকাতে প্রথম থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রেন চালু হোক।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version