কলকাতা ব্যুরো: সকালের দিকে যতটা কোমর বেঁধে বনধ সফল করতে নেমে পড়েছিলেন বাম- কংগ্রেস সর্মথকরা, কয়েক ঘণ্টা পরেই মোটামুটি রাস্তা ফাঁকা করে ঘরে ঢুকে পড়লেন তারা। ফলে বিকেলের দিকে মোটামুটি স্বাভাবিক রাজ্যের জনজীবন। যদিও সকালে যারা পথে বেরিয়ে ট্রেন এবং বাস এর সমস্যার জন্য গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেননি, তারা আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন।

Bandh picture of asansol durgapur industrial area
Bandh reaction

আর সকালের দিকে বেসরকারি বাস যতটুকু বেরিয়েছিল, বিকেলের পরে যাত্রী তেমন না পাওয়ায়, তার বেশিরভাগই তুলে নেওয়া হয় রুট থেকে। যার জেরে এদিন সন্ধ্যের পর বিভিন্ন কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরার ক্ষেত্রে নাকানি-চোবানি খেতে হয় নাগরিকদের। যদিও দুপুরের পর ট্রেন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে যায় হাওড়া এবং শিয়ালদা শাখায়।
ফলে সন্ধ্যের পর তুলনায় ফাঁকা ট্রেনে অনেকেই অনেকটা সচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। কিন্তু যাদের বাস রুট সম্বল, তাদের ক্ষেত্রে বাড়ি ফেরা বিকেলের পরে হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই বিরম্বনার। বনধ সমর্থকদের তরফে শ্রমিক নেতারা মানুষ সমর্থন করেছেন বলে দাবি করেছেন।

আর বিজেপির বক্তব্য, এই বনধে কোনো প্রভাব পড়েনি। দু-একটি রাজ্যে যেখানে অন্য দল শাসন ক্ষমতায় রয়েছে, তারা কিছু ক্ষেত্রে বাস না চালানোর ফলে সুযোগ দিয়ে বাম এবং কংগ্রেসকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কলকাতা শহরে ১১৪ জন বনধ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা রাজ্যে হাজার খানেক সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও রাজ্যের কোচবিহার, দুর্গাপুর, বারাসাত, চুঁচুড়া বাঁকুড়ার মত কিছু জেলায় সামান্য অশান্তি ছাড়া বড় কোনো গন্ডগোল হয়নি।

এ সম্পর্কে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এর বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিণত রাজনৈতিক বুদ্ধির জন্য আজ বড় কোন গোলমাল হয়নি। তৃণমূল নীতিগতভাবে বনধের ইস্যুগুলোকে সমর্থন করলেও, বনধ বিরোধী আর মানুষ মেনে নেয়নি’।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version