কলকাতা ব্যুরো: সপ্তমীতে একই ছবি শহরে পুজো মণ্ডপে। অন্যান্য বছরের তুলনায় কার্যত খাখা অবস্থা শহরের নামিদামি পুজোর মন্ডপ। দূর থেকে দেখে অনেকে ফিরছেন গুটিগুটি। তুলনায় তবু পাড়ার লোকের আনাগোনায় অনেকটাই গমগমে ছোট পূজা গুলি।
যদিও রাত দশটার পরে কিছুটা যেন বদলে গেল ছবি। হঠাৎই ঝাকে ঝাকে বাইক বেরিয়ে পড়ল রাস্তায়। প্রাইভেট গাড়ি বড় বড় সিগনালে লাল আলো পেতেই লম্বা লাইন। সকলেই আইনের ছোঁয়া বাঁচিয়ে হালকা ভিড়ে ঠাকুর দেখে নিতে বেছে নিয়েছেন বেশি রাত। যদিও মণ্ডপের সামনে ভিড় হলেও সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াচ্ছেন না কেউ। কিন্তু রাস্তায় লোকের আনাগোনা যথেষ্টই।
যদিও কোয়েক ঘন্টা আগে সন্ধ্যায় লোকের সেই ভিড় ছিল না রাস্তায়। পরিস্থিতি এর চেয়ে এবার বদলাবে না তা বুঝে গিয়েছে পুলিশও। তাই প্রায় নজিরবিহীনভাবে এবার লালবাজার সপ্তমী থেকে পুজোর ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মী সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।

আগের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী, প্রায় আট থেকে ১০ হাজার পুলিশকর্মীকে পুজোর ভিড় সামলাতে রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নো এন্ট্রি নির্দেশ জারির পর, এই পরিস্থিতি কি হতে চলেছে, তার আঁচ পায় পুলিশ। তার পরেও ষষ্ঠীতে বাড়তি বাহিনীও কিছুটা নেমেছিল। কিন্তু এবার হাইকোর্টের নির্দেশ এর ফলে এতটাই শূন্য রাস্তায় যে সেই বাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সপ্তমীতে।


আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারদের রাস্তায় ভিড় সামলাতে বিভিন্ন জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফলে ষষ্ঠীর দিন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার রাস্তায় নামেন। কিন্তু সপ্তমী থাকে এ সি পদমর্যাদার অফিসারদের হাতেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাস্তার। আর মণ্ডপের সামনে একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর এর নেতৃত্বে থাকছেন কয়েকজন করে পুলিশ কর্মী।
যদিও রাস্তার ট্রাফিক সামাল দেওয়ার জন্য স্বাভাবিক সময় যে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা থাকেন, তাদের দায়িত্ব হালকা হয়নি। তবে অন্যান্যবার যেমন একটানা ডিউটির চাপ তাদের নিতে হয়, এবার সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে কলকাতা হাইকোর্টের দর্শকশূন্য মন্ডপের নির্দেশ।
যদিও সপ্তমীর বেশি রাতে রাস্তার হাল দেখে অষ্টমীতে পুলিশ বাহিনী রাস্তায় বাড়বে কিনা তা বোঝা যাবে শনিবার বিকেলের পরেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version