শুক্রবারই লক্ষী পুজো। আর লক্ষী পুজো মানেই বাঙালি পরিবারের মোস্ট ফেভারিট আইটেম খিচুড়ি আর লাবড়া। এর আগেই আমরা আপনাদের জানিয়েছি লাবড়া রান্নার রেসিপি। আজ দেখে নেওয়া যাক ভোগের খিচুড়ি তৈরির পদ্ধতি।

উপকরণ:

মুগ ডাল : ৫০০ গ্রাম
গোবিন্দভোগ চাল : ৫০০ গ্রাম
কড়াইশুটি : খোসা সমেত ২০০ গ্রাম
কাঁচা বাদাম : ৫০ গ্রাম
ঘি : ১০০ গ্রাম
পাঁচফোড়ন : ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা : ৩ টা
কাঁচা লঙ্কা : ৩-৪ টা
আদা বাটা : ৩ চামচ
নুন, চিনি আর হলুদ পরিমাণ মতো
ভাজা মশলার জন্য
গোটা জিরে : ২ টেবিল চামচ
গোটা ধনে : ২ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা : ২ টা

পদ্ধতি :

এই খিচুড়ি রান্নায় মুখ ডাল আর চাল সমান পরিমান নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ডাল লাল করে ভেজে প্রায় আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।চাল ভালো করে একবার ধুয়ে নিতে হবে। গোবিন্দভোগ চাল বারবার ধুলে চালের গন্ধ চলে যায়। ভেজানো ডাল জল ঝড়িয়ে শুকনো করে রাখতে হবে। আলাদা পাত্রে পরিমাণ মতো জল গরম করে রাখতে হবে। খিচুড়িতে সবসময় গরম জল ব্যবহার করা উচিত, তাহলে স্বাদ ভালো হয়।

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে কাঁচা বাদাম ভেজে তুলে রাখতে হবে। ওই তেলের মধ্যে পাঁচফোড়ন , শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতা দিয়ে ডাল একটু ভেজে নিয়ে যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না হবে তাতে পরিমাণ মতো গরম করা জল, ডাল আর কড়াইশুটি সেদ্ধ করতে হবে। ডাল হাফ সেদ্ধ হলে চাল দিতে হবে। চাল আর ডাল ফুটে উঠলে আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, ভাজা বাদাম, পরিমাণমতো নুন হলুদ আর চিনি দিতে হবে।

এবার খিচুড়ি আবার কিছুক্ষণ ফোটাতে হবে। ভাজা মশলার জন্য গোটা জিরে, গোটা ধনে, আর দুটো শুকনো লঙ্কা কড়াই গরম করে শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তারপর গুঁড়ো করে নিতে হবে। খিচুড়ি কিছুক্ষণ ফোটার পর চাল ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে জলের পরিমাণ দেখে তার মধ্যে ঘি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভাজা মশলা ছড়িয়ে নামাতে হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version