কলকাতা ব্যুরো:
হাতে মাত্র দু ‘ দিন। তার পরই দোল। করোনা সংক্রমণে হোলি খেলার আনন্দে কিছুটা বাধ সাধলেও খাওয়া-দাওয়া জমিয়ে তুলতে বাধা নেই। সে জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হোলির মুখরোচক খাবার। এখানে এমনই একটি জনপ্রিয় খাবার তৈরির প্রণালী জানানো রইল, যা দোল উপলক্ষে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এই জনপ্রিয় খাবারটি হল দই গুজিয়া বা দই পেরাকি। অনেকটা দই বড়ার মতো হলেও, স্বাদ ও তৈরির পদ্ধতি কিছুটা আলাদা।

উপকরণ:
• ১ কাপ বিউলি ডাল
• ১ চা চামচ নুন
• আধ চা চামচ বেকিং পাওডার
• ভাজার জন্য তেল
• ২ কাপ দই
• ১ টেবিল চামচ চিনি
• তেতুলের চাটনি
দই বড়া মশলা:
• আধ চা চামচ লাল লঙ্কাগুড়ো
• ২ টেবিল চামচ গোটা জিরে ও ধনেকে শুকনো ভেজে গুড়ো করে নিন
• ১/৪ চা চামচ বিট নুন
• ১ টেবিল চামচ চাট মশলা
পেরাকির পুরের জন্য যা লাগবে:
• আদা
• ২-৩টে কাঁচা লঙ্কা
• কুচনো ধনে পাতা
• ২ টেবিল চামচ কিশমিশ
• ১ টেবিল চামচ কালো জিরে
• ২ টেবিল চামচ নারকেল কোড়া


প্রণালী:
প্রথমে বিউলি ডালটিকে ৩ ঘণ্টার জন্য জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর একে অল্প জল দিয়ে বেটে নিন। লক্ষ্য রাখবেন এই ব্যাটারটি যেন গাঢ় থাকে।
ব্যাটারটিতে নুন ও বেকিং পাওডার দিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিন। স্থির জলে এক-দুই ফোঁটা ব্যাটার চুইয়ে দিন, ওপরে ভেসে উঠলে বুঝতে হবে ব্যাটারটি ভালো ভাবে ফ্যাটানো হয়েছে। এর পর কুচনো আদা, লঙ্কা, ধনেপাতা, কিশমিশের সঙ্গে কালোজিরে ও কোড়া নারকেল মিশিয়ে নিন।
এবার একটি ভেজা প্লাস্টিকের ওপর এই ব্যাটারটি রাখুন। তার মধ্যে কোড়া নারকেলের পুর ভরে সেটিকে অর্ধবৃত্তাকারে মুড়ে দিন। পেরাকিটিকে সাবধানে প্লাস্টিক থেকে ছাড়িয়ে তেলের মধ্যে ভাজার জন্য ছেড়ে দিন। সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।


তার পর জল ভর্তি পাত্রে গুজিয়া বা পেরাকিটিকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখুন। এর পর জল থেকে বার করে হাতের তালুতে রেখে ধীরে চাপ দিয়ে তার মধ্যেকার অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে দিন।
পরিবেশনের জন্য প্রথমে দইয়ে চিনি ও বিটনুন মিশিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিন। এবার একটি প্লেট বা বাটিতে পেরাকি রাখুন। এর ওপর দই ছড়িয়ে দিন। তার পর এক এক করে ছড়িয়ে দিন, ভাজা জিরে ও ধনে গুড়ো, চাট মশলা, বিটনুন, লাল লঙ্কা গুড়ো ও তেতুলের চাটনি। চাইলে অল্প একটু কুচনো ধনেপাতা ছড়িয়েও পরিবেশন করতে পারেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version