কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে হাসিমারা নেমে অটো বা গাড়িতে জয়গাঁও থেকে লাগোয়া ভুটানের প্রবেশদ্বার দিয়ে ফুন্টসেলিং থেকে গাড়িতে বা বাসে করে চলুন থিম্পু৷ থিম্পু ভুটানের রাজধানী৷ ফুন্টসেলিংয়ে প্রবেশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বৌদ্ধ গুম্ফা৷ মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছিল আধভাঙা চাঁদ। পাহাড়ের গায়ে বাড়িগুলোর আলো যেন নক্ষত্র। দেশের রাজা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলের একটাই উদ্দেশ্য। তা হল আনন্দে থাকা, সুখে থাকা। তারা গুম্ফা প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট চোখে তাকায় খোলা আকাশের দিকে। তাকিয়েছিলে তুমিও। হাওয়াকে ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ, কি সুন্দর, কি শান্ত। সেই আকাশেই মুক্তির খোঁজ। মুক্তি বড্ড টানে তাই না? স্পষ্ট উত্তর, হ্যাঁ এবং হ‌্যাঁ।

তুচ্ছ প্রেম, ঘ‌্যানঘানে কতকথা থেকে মুক্তি। দিনের প্রয়োজন, অদিনের ভাবনা থেকে মুক্তি। স্বপ্নদর্শী, স্বপ্নপূরণের চেষ্টা, স্বপ্নভঙ্গে মৃত আশাক্রন্দন থেকে মুক্তি। শোক, ব্যথা, হতাশা আবার প্রবল প্রত্যাশা, কষ্ট প্রাণে তীব্র সংকট থেকে মুক্তি। হৃদয়ের আকুলতা থেকে মুক্তি। হারানোর পাগলামো থেকে মুক্তি। কঠিনতর পরাজয় থেকে মুক্তি। সেই মুক্তির সন্ধানেই তা তা থই থই…। কিন্তু মুক্ত তো নিজেই বন্দি থাকে। জীবনের জটিল প‌্যাঁচ, শক্ত সম্পর্কের বাঁধনের বাইরে বারবার যেতে চায় ভালোবাসা। সম্পর্কে ডুবে যেতে, তাকে সকাল সন্ধ‌্যা থেকে গায়ে মাখতে, বিভোর হয়ে থাকতে বড় ভালো লাগে তার। একটা মানুষ দিন-রাত ওঠে। রবি ঠাকুরের গান বেজে চলেছে রেডিওতে। আচ্ছা সম্পর্কটা কি সত্যি সুখের নাকি এটা শুধুই জোর করে ঠেলে নিয়ে যাওয়া।

অনেক সময় আমরা হয়তো গুলিয়ে ফেলি সবটা। প্রেম, ভালোবাসা, আকর্ষণ সবটা গুলিয়ে একটা বৃত্ত হয়ে ওঠে, আমরা শুধু ঘুরে যাই ওই বৃত্ত ধরে, বেরোনোর পথ থাকে না। ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে… দিনগুলো বেশ ভালোই কেটে যায়। ভালোবাসার মানুষটি মনের মানুষ হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে কাছের মানুষ, আমার মানুষ। একটা মানুষের জীবনে যে যে ধরনের মানুষ থাকতে পারে, ওই বাজে, ভালো, কাছের, দূরের, আপন, পর, ভালোবাসার, মেঘ এই সবটা জুড়েই থাকে সেই ভালোবাসা। রাগ হলে বাজে মানুষ হয়ে যায়, আদর করলে আবার মনের মানুষ। ‘তোমা ছাড়া আর এ জগতে, মোর কেহ নাই কিছু নাই গো’।  ধরুন, আপনি একজনকে খুব ভালবাসেন। না না, তাকে যে ‘মনের মানুষ’ হতে হবে, তেমনটা নয়। সেই ভালবাসার মানুষটা আপনার বাবা, মা, সন্তান, দাদা, দিদি বা আপনার খুব ভাল বন্ধুও হতে পারে। সব ঠিকঠাক চলছে। হঠাৎই একদিন সেই ভালবাসার মানুষের থেকে আপনি এমন কোনও কথা শুনলেন বা এমন কোনও ব্যবহার পেলেন, যেটা আপনার কল্পনার বাইরে ছিল। তখন ভিতরে ভিতরে ধাক্কা খাবেন তো? যে মানুষটাকে আপনি ভালবাসতেন, সে আসল? নাকি, যে আপনাকে কষ্ট দিল, সে আসল? বুঝতে বুঝতে আপনি নিজের প্রকোষ্ঠে আরও আরও সেঁদিয়ে যাবেন। অনিবার্যভাবে যাবেন।

তোমাকে ভালোবাসতে কী আর লাগে, বলো? একটা আকাশ চেয়েছিলে আমার কাছে। কিন্তু আমি তো মাটিতে একটা নদী একটা পাহাড় আর কিছু মানুষ নিয়ে থাকি। জানো তোমাকে নিমগ্ন ভালোবাসতে আকাশ, বাতাস কিছুই লাগে না আমার। মুক্তির সন্ধানে আলোও চাই না। আর বিশ্বাস করো, অজুহাতটাও লাগে না এখন! অজুহাত! লেগেছিল সেই কোনও এক ষষ্ঠীর বিকেলে। লেগেছিল পরে আরও পরে। যাকে ভালবাসতে শিখেছি, কোনও বাধ‌্যবাধকতা নেই সেই ভালোবাসাকে তার কাছে লালিত হতে হবে। সে যদি ভাল না বাসে, এমন কি ঘৃণাও করে, তাও বোধ করি সহ্য হয়, কিন্তু যার ভালবাসা পেয়েছি বলে বিশ্বাসে অটল হয়েছি নিজের খেয়ালে, সেখানে ভুল ভেঙে যাওয়াটাই নিদারুন। পূর্বেরটা ব্যথাই দেয়, কিন্তু শেষেরটা ব্যথাও দেয়, অপমানও করে। আবার এ ব্যথার প্রতিকার নেই, এ অপমানের নালিশ নেই। তাই মুক্তি চাইনি। মুক্তির আবদ্ধে ক্রমেই অসাড় হতে চাইনি। রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ডাক্তারে যা বলে বলুক নাকো, রাখো রাখো খুলে রাখো, শিয়রের ওই জানলা দুটো, গায়ে লাগুক হাওয়া। সেই জানালা খুলে শুধু অপলকে ওড়াউড়ি, চলাচল মিলেমিশে একাকার হতে দেখেছে ভালোবাসা। আমি যাকে ভালোবাসি, সে অন্তত গোপনে আমাকে সহস্রবার মারলেও, যন্ত্রণায় কুঁকড়ে দিলেও অপলক থেকেছি। কারণ, কারণ ‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে কাঁদে দুনিয়ার জন্য, সে বড় একলা, অনন্য। আমি যাকে ভালবাসি, সে ভালবাসে শান্তির দিন, সে জানে বেঁচে থাকা সম্ভব, একে অপরের বন্ধু হয়ে.

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version