কলকাতা ব্যুরো: দুদিন আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় এখনো ধুঁকছে গোটা সুন্দরবন ও সমুদ্র লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুর। এরইমধ্যে সুন্দরবনের জীবজন্তুদের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ায় ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় যশ উপকূলে ধাক্কা মারার পরে প্রবল জলোচ্ছাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ভাগবতপুর কুমির প্রকল্প ঘিরে বড় ক্ষতি হয়। কুমির প্রকল্পর পাঁচিলের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে যায়। সেখানে বর্তমানে কয়েকশো নানা মাপের কুমির রয়েছে। তার মধ্যে চারটি কুমির ভেসে চলে যায়। একসময় গ্রামবাসীরা সেগুলো কে ধরে ফের বনদপ্তর এর হাতে তুলে দেয়। কিন্তু শুক্রবার সেই পাথরপ্রতিমাতে লোথিয়ান দ্বীপ এ এক পুকুরে একটি প্রায় দশ ফুটের কুমির পাওয়া যায়। বিষ্ণু দাস নামে ওই পুকুরের মালিক দেখেন, কিছুক্ষণ পরপর পুকুরের মধ্যে বড় ঘাই দিছে কোন জীব। জঙ্গলে কাটানো বিষ্ণু দাস এর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এত বড় মাছ তার পুকুরে নেই যে অত ঘাই দেবে। ফলে তখনই কুমিরের আতঙ্ক তৈরি হয়।


খবর দেওয়া হয় বনদপ্তর কে। তারই মধ্যে কুমির পুকুরের এমাথা থেকে ওমাথা ভেসে চলে। বনদপ্তর এসে প্রথমে ওই পুকুরের জল ছেচে বের করে দেয়। পরে বিশাল ওই কুমিরটিকে বনদপ্তর কর্মীরা ধরে নিয়ে যান ভাগবতপুড়ে। বনকর্মীদের ধারণা, কোনভাবে নদী থেকেই জলোচ্ছ্বাস এর ফলে কুমিরটি ভেসে এসে ওই পুকুরের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। যদিও কেউ কেউ ওই কুমিরটি ভাগবতপুর প্রকল্পের বলেই মনে করছেন। যদিও বন কর্তারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত যে কুমিরটি কারোর ক্ষতি না করতে পেরে তার আগেই ধরা পড়েছে সেটাই বড় কথা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version