কলকাতা ব্যুরো: দেশের করোনা পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। আরও কমে গেল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,১২৯। গত সাতদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৬০ হাজারের নিচে রয়েছে।
অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত পরপর তিনদিন ৭ লক্ষের নিচে রয়েছে। গত ২২ দিন ধরে রোজ কমছে অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা। রবিবারের পরিসংখ্যানে দেশে এখন অ্যাক্টিভ পজিটিভ ৬,৬৮,১৫৪ জন। ২৩ অগস্টের পর অ্যাক্টিভ পজিটিভের এই সংখ্যা দেশে সর্বনিম্ন। সুস্থতার হার বেড়ে ৯০ হয়ে গিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
একদিনে সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৬২,০৭৭ জন। দেশে এখন মোট করোনামুক্ত ৭০,৭৮,১২৩ জন। এপর্যন্ত আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭৮,৬৪,৮১১। তবে মৃত্যুহারে এখনও কমতি নেই। গত ২৪ ঘণ্টাতেও ওই হার গত কয়েকদিনের মতো ১.৫১ রয়েছে। এই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৮ জনের। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার মোট বলি ১,১৮,৫৩৪ জন।
২৪ অক্টোবর অর্থাৎ মহাষ্টমীর দিন পর্যন্ত দেশের ১০,২৫,২৩,৪৯০ জন নাগরিকের করোনা টেস্ট হয়েছে। অষ্টমীতেই টেস্ট হয়েছে ১১,৪০,৯০৫ জনের। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, টিকা পাওয়া যেতে পারে ২০২১-এর জুলাই নাগাদ। প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ কোটি দেশবাসী টিকাকরণের আওতায় আসতে পারেন। পরিস্থিতি যতই স্বস্তিদায়ক মনে হোক, বিধিসম্মত সতর্কীকরণ হল, সাবধানতা। কেন না, পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে করোনা গ্রাফ এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
তারমধ্যে সপ্তমী পর্যন্ত যে সংযম দেখা গিয়েছিল, অষ্টমীতে তা ভেঙে পড়েছে। প্রায় সর্বত্র সমস্ত বিধিনিষেধ ভুলে পুজোমণ্ডপে, রাস্তায় ভিড় দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি পুজোর আরও দুদিন চললে তার প্রভাব একসপ্তাহের মধ্যে অনুভূত হওয়ার প্রবল আশঙ্কার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version