কলকাতা ব্যুরো: ডাল্টনগঞ্জের দুর্গাবাড়ির পুজোর এবার ১০৬ বছর। কিন্তু করোনা আবহ আর প্রশাসনের নির্দেশে এবার তা ছোট করেই সারতে বাধ্য হচ্ছেন আয়োজকরা। প্রতিমা বরাবরের ঐতিহ্য মেনেই হয় একচালার এবং ডাকের সাজের। সেই রীতিই আজও চলে আসছে। ভক্তিভরে পুজো, অঞ্জলি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোগ বিতরণ সবই থাকে পুজোর অঙ্গ হিসেবে। প্রতি বছর রথ যাত্রার সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা তৈরির কাজ। সেই বরাত ও প্রথম থেকেই দেওয়া হয় একটি পরিবারকেই। তবে এবার প্রতিমার আকার ছোট করে ৪ ফুট উচ্চতার করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোগ বিতরণ। যা নিয়ে খানিকটা ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাঙালিরা।

ডাল্টনগঞ্জের দুর্গাবাড়ির পুজো

রাচির দুর্গাপুজো বেঙ্গলি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রথীন ভদ্র জানান, ঝাড়খণ্ডের ২৪ টি জেলার প্রতিটিতেই গড়ে ৪০-৫০ টি দুর্গাপুজো হয়। শুধু রাচিতেই হয় প্রায় ১০০ টি। তারমধ্যে 1৫/১৬ টি সরাসরি বাঙালিদের দ্বারা পারিচালিত। রাচি, দুমকা, ডাল্টনগঞ্জ- সর্বত্রই রয়েছে দুর্গাবাড়ি বা দুর্গাবাটি। তার প্রতিটিতেই প্রতি বছর সাড়ম্বরে পালিত হয় দুর্গাপুজো। ডাল্টনগঞ্জের দুর্গাবাড়ির পুজোটি ১০৬ বছরের পুরনো। সুবোধ চক্রবর্তী এখানকার সবচেয়ে পুরানো পূজারি ছিলেন। বড়দের কাছে শুনেছি, উনি চন্ডীপাঠ করতেন এমন যা বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের থেকে কম কিছু নয়। শুনেছি, উনি যখন চন্ডীপাঠ করতেন , মা দুর্গার হাতের খাড়াটি কেঁপে উঠতো। এখন উনি প্রয়াত। তবে কবে, কখন ওনার প্রয়াণ ঘটবে তা উনি আগেই নাকি বলে গিয়েছিলেন। হয়েও ছিল তা।
এবছর আড়ম্বর না থাক, ভক্তিতে কিন্তু ঘাটতি ঘটেনি। রথীন বাবু জানান, ডাল্টনগঞ্জের পুজোটিতে মহাঅষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছেন প্রায় ২৫০ মানুষ। আগে থেকে কুপন দেওয়া ছিল। সে অনুযায়ী ৫০/৫৫ জন করে অঞ্জলি দিয়েছেন এক একবারে। কোনো সমস্যা হয়নি। আবার সামনের বছর পরিপূর্ণ ভাবেই মাতৃ আরাধনা করতে পারবেন বলেই আশায় প্রতিবেশী রাজ্যের বাঙালিরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version