কলকাতা ব্যুরো: বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংসদের হুঁশিয়ারিকে তুড়ি মেরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে (Parliament Protest) নামলো বিরোধী শিবির। মঙ্গলবার সকালে দুধ, দইয়ের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে জিএসটি লাগু, মূল্যবৃদ্ধি, এরকম নানা ইস্যুতে সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে জড়ো হন (Parliament Protest) কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদেরা। প্ল্যাকার্ড হাতে ‘মোদি সরকার হায় হায়’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। হাজির হন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সাংসদ-নেতা রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং আরও অনেকে। বেলা বাড়লে টিআরএস, আপের সাংসদদেরও দেখা মিলল গান্ধি মূর্তির পাদদেশে।

কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বর্ধিত মূল্য ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, মুদ্রাস্ফীতি, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলছে। রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, দই, পনির এবং প্রতিদিন ব্যবহারের জিনিসপত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে৷ এতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। আমরা হাউজের মধ্যেও প্রতিবাদ করব।

লোকসভার কংগ্রেস হুইপ মণিকাম টেগোর জানান, তাঁর নেতৃত্বে বিরোধী দলের সদস্যরা মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। সরকার সে কথা কানে তোলেনি এবং অধ্যক্ষ দুপুর ২ টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ফের এই এক বিষয়গুলি নিয়ে হাউজে প্রশ্ন তুলব। সরকার আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে কেন?

সোমবার, ১৮ জুলাই দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিসের উপর জিএসটি লাগু করা হয়েছে। এদিকে বাদল অধিবশেন শুরুর আগে থাকতেই অসংসদীয় শব্দের বুকলেট প্রকাশ করেছে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট। এরপর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে কোনও রকম বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, ধরনা (Parliament Protest) দেখানো যাবে না। বিরোধীরা এই ফতোয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই জমায়েত করেছে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে। বেলা যত বাড়ছে, কংগ্রেস ছাড়া দেশের অন্য বিরোধী দলগুলিও সামিল হচ্ছে সেখানে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version