কলকাতা ব্যুরো: কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরের খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে বিক্ষব দেখায় যুব কংগ্রেসের সদস্যরা। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের প্রতিবাদে এদিন বিধানসভার ৩ নম্বর গেটে যুব কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই ৩ নম্বর গেট দিয়ে কেবল রাজ্যপাল বিধানসভার ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন। এই গেটের বাইরেই যুব কংগ্রেসের ২৫ থেকে ৩০ জন যুবক মিলে গেটের বাইরে বসে বিক্ষোভ শুরু করে। তাঁদের দাবি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর এবং উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, মমতা ব্যানার্জীর স্বৈরাচারীতা অতিক্রান্ত। মমতা ব্যানার্জীর সরকার, আর নেই দরকার।’পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামে পুলিশ। তারা থামাতে এলে কয়েকজন বিক্ষোভকারী গেটে উঠে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ থামাতে কয়েকজনকে আটক করা হয়। টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। আটকদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

গত রবিবার ঝালদায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন জয়ী কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং তাঁর দল কংগ্রেস। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মঙ্গলবার লোকসভায় বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তপন কান্দুর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘অধীর চৌধুরীকে দিয়ে তড়িঘড়ি বলিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।’

অন্যদিকে মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখার্জি। বিজেপির এই দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিধানসভায় অবস্থান-বিক্ষোভ বিজেপির। তাঁরা বারবার শ্লোগান দিতে থাকেন, অবিলম্বে এই সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারীও। দুই বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবারও বিধানসভায় অবস্থান-বিক্ষোভ বিজেপির। বিজেপির এই অবস্থান-বিক্ষোভকে ঘিরে সরগরম ছিল বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে রাজ্যের চিত্রটাই বদলে যাবে।

তবে এদিন বিধানসভার অধিবেশন শেষে বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সল্টলেক সিটিসেন্টার ওয়ান-এ এর জন্য আগে থেকেই একটি প্রেক্ষাগৃহ বুক করে রাখা হয়েছিল। বিধানসভার সামনে থেকে একটি বাতানুকূল বাসে ৬২ জন বিধায়ক সল্টলেক সিটিসেন্টার ওয়ান-এ যান। শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অফিস থেকেই যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়। দলের বিধায়কদের মধ্যে অন্তত ছয়জন এই ছবিটি একবার দেখে ফেললেও তাঁরা সতীর্থদের সঙ্গী হয়েছেন এদিন।

গত শতকের ৯০-এর দশকে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রবল ভাবে বাড়ে। সেই সময় হাজার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হন। সেই ঘটনার ওপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। এব্যাপারে শুভেন্দু বলেন, তিনি শুনেছেন নম্বইয়ের দশকে যেভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিকদের বিতাড়িত করা হয়েছিল , তার ওপরে ভিত্তি করেই ছবিটি তৈরি হয়েছে। আগ্রহবশতই তিনি সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে ছবিটি দেখতে যাচ্ছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version