কলকাতা ব্যুরো: শুধু কলকাতা নয়, এখন করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে গ্রামেগঞ্জে। ফলে সে সব এলাকায় কনটাইনমেন্ট জোন হচ্ছে। অথচ সেখানে গৃহবন্দী মানুষদের দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোনো জরুরি প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য না পাওয়া নিয়ে রোজই ক্ষোভ বাড়ছে।
অথচ করোনা সংক্রমণে প্রথমে থাকা দিল্লি গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে এই কনটাইনমেন্ট জোনে নাগরিকদের ১০০ শতাংশ গৃহবন্দী রাখার কাজটা নিশ্চিত করে ফেলেছে নতুন মডেল তৈরি করে।
এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার নারায়ণগঞ্জ চিহ্নিত হয়েছে কনটাইনমেন্ট জোন। ফলে সেখানকার ৪১ টি পরিবার এখন একরকম ঘরবন্দি। পুলিশ প্রশাসনও কড়া নজর রাখছে যাতে এখানকার বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আর রোগ না ছড়ায়।
কিন্তু এই পরিবারগুলোর প্রতিদিনের খাওয়ার ব্যবস্থা, বাজারের বন্দোবস্ত না থাকায় সাহায্যের জন্য তাঁরা আবেদন করেন। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগে একসময় আবেদন নিবেদন ক্ষোভ বিক্ষোভের রূপ নেয়।


শেষ পর্যন্ত পরিবারগুলোর দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিটিজেন্স ফর সোশ্যাল জাস্টিস। চাল, ডাল, আলু, আটা, তেল, নুন থেকে সবজি পৌঁছে দেয় ওই পরিবারগুলির কাছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এখানেও কেন দিল্লি মডেল অনুসরণ নয়?

দিল্লির একেকটি কনটাইনমেন্ট জোনে ৬০-৭০ বা ১০০ বাড়ির এলাকার দেখভালের জন্য প্রতি শিফটে তিনজনের দল গড়া হচ্ছে। সে দলে কনস্টেবল, আশাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একজন করে থাকছেন। একেকটি জোনের নজরদারি থেকে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ বা জরুরি প্রয়োজনে ওই তিনজনের একেকটি দলই সব সামলে দিচ্ছেন।
প্রতি দলকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। সেখানেই থাকছে ওই জোনের প্রতি বাড়ি ও পজিটিভ নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য। ফলে নাগরিকরাই বলছেন, করোনা না ছড়াতে মানুষকে ঘরে রেখে তাঁদের সব প্রয়োজন মেটানোর ব্যাবস্থা সরকার করে দেওয়ায় ফল মিলছে।
এখন এখানেও এমন কনটাইনমেন্ট জোনে পরিবারগুলির প্রয়োজন মেটাতে ও তাঁদের যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য দিল্লি-মডেল অনুসরণ করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version