কলকাতা ব্যুরো: ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লার ডেরায় হামলা হুগলির দুষ্কৃতীদের। এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন জখম হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনকেই এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনেরই দেহ থেকে গুলি বের করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা।
তৃণমূল কর্মীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় দুষ্কৃতীদের। ক্যানিং এর বিধায়ক শওকত মোল্লার উপরে হামলার জন্য ওই দুষ্কৃতীদের সুপারি দিয়ে ডেকে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আটকদের মধ্যে হুগলির বিশাল দাস নামে একজন রয়েছেন। এই বিশালই হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ক্যানিংয়ের জীবনতলায় কুরিয়া ডাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরেই কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল বহিরাগত তিনজন। বাইরের লোকের ঘাটি গারা নিয়ে এলাকায় নানান রকম জল্পনা চলছিল। এরইমধ্যে এদিন সকালে ওই বাড়িতে যান স্থানীয় লোকজন। যাদের অধিকাংশই তৃণমূলের সমর্থক। কারা এই বাড়িতে এসেছেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন শুরু হতেই ওই দুষ্কৃতীরা বেরিয়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ।

একসময় দুষ্কৃতীদের রিভলবারের সামনে পিছিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। তখন একটি মোটর ভ্যান ধরে পালানোর চেষ্টা করে ওই তিনজন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য গ্রামবাসীরা দৌড়ে তিনজনকেই ধরে। পড়ে তাদের থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন বিশাল দাস। যার বাড়ি চুঁচুড়া। কয়েকদিন আগেই হুগলিতে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। দেহটি ফেলে দেওয়া হয় একটি জঙ্গলের মধ্যে। তার দেহের সঙ্গে মাথা পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বিশাল দাস নামে এক দুষ্কৃতীর নাম।

গত কয়েক বছর ধরে বিশাল দাস চুঁচুড়া, চন্দননগর এলাকায় ক্রাইম এর অন্যতম মাথা বলে অভিযোগ পুলিশের। এদিন জীবনতলা থেকে যে বিশাল দাস নামের যুবককে আটক করা হয়েছে, এই যুবক সেই দুষ্কৃতী কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রামবাসীরা তাদের আটক করার পর কিছুটা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version